একই ব্লাড গ্রূপের দম্পতিদের সন্তান ধারণে সমস্যা? জানুন আসল সত্যিটা কী
Same blood group couples having children? Know what the real truth is

The Truth Of Bengal : চলছে বিয়ের মরসুম। এমতাবস্থায় টলিপাড়া থেকে শুরু করে বালিপাড়া সর্বত্র শুধুমাত্র বাড়ছে বিয়ের সানাই। শুরু হয়েছে জোর কদমে বিয়ের প্রস্তুতি পর্ব। তবেই বিয়ের আগে কিছু জিনিস সম্পর্কে সচেতন হতে হয়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি কোন সমস্যা হয়? স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে কোন ক্ষতি নেই এবং পরবর্তীকালেও কোন সমস্যা হয় না। একই রক্তের গ্রুপের বিবাহিত দম্পতিদের পরবর্তী জেনারেশনকে বিশেষ কোনো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় না। আপনি যদি A+ এবং আপনার স্বামীও যদি A+ হন তাহলে জেনেটিক নীতি অনুসারে জন্ম নেওয়ার শিশুর রক্তের গ্রুপ হবে A+-তাই কোন সমস্যাই হবে না।
দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় কি কোন সমস্যা হতে পারে?
যে ক্ষেত্রে মায়ের রক্তের গ্রুপ হল Rh-ve অ্যান্টিজেন এবং বাবার রক্তের গ্রুপ হল Rh+ অ্যান্টিজেন। তাদেরকিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ Rh-ve মায়ের গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুটি পিতার জেনেটিক গ্রুপ বহন করার কারণে Rh +ve হতে পারে। তাই শিশুর লাল রক্ত কণিকার সংস্পর্শে আসার পর আপনার শরীর Rh অ্যান্টিবডি নামক প্রোটিন তৈরি করতে পারে। প্রথম গর্ভাবস্থায় অ্যান্টিবডি কোনোরকম সমস্যা হয় না। তবে দ্বিতীয় গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়।
Rh+ পুরুষ এবং Rh- মহিলার সংকরায়ন
Rh+ পুরুষ এবং Rh- মহিলার Rh সেক্টর হল রক্তে পাওয়া প্রোটিন। যে ব্যক্তির রক্তে Rh চারটে রাখে তাকে Rh+ বলা হয়। আর যে সমস্ত ব্যক্তিদের রক্তে এই প্রোটিন নেই তাকে Rh- বলা হয়। Rh- মহিলা এবং Rh+ পুরুষের মধ্যে বিবাহ এড়িয়ে চলা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মত
স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একই হলে। তাই তাদের স্বাস্থ্যের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। এর মানে হল যে তারা তাদের পিতামাতার কাছ থেকে রক্তের গ্রুপ উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে। একই রক্তের গ্রুপ থাকার একটি সুবিধা হল তারা একে অপরকে রক্ত দান করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ 0 হলে বুঝতে হবে তাদের সন্তানেরও একই রক্তের গ্রুপ থাকবে। যাদের পিতামাতার রক্তের গ্রুপ বি। তাদের সন্তানের রক্তের গ্রুপ 0/বা B হতে পারে। যাদের বাবা-মায়ের রক্তের গ্রুপ A। তাদের সন্তানের রক্তের গ্রুপ 0 বা A হতে পারে।