
The Truth of Bengal, Mou Basu: কথাতেই আছে “মৎস্য মারিব খাইব সুখে”। মৎস্যপ্রিয় বাঙালির মাছ ছাড়া চলে না। পুষ্টিকর খাদ্য হলেও বেশি মাছ খাওয়া আবার শারীরিক বিপদ বাড়িয়ে তোলে। মাছ থেকে খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বা বেশি পরিমাণে মাছ খেলে হতে পারে তলপেটে প্রবল ব্যথা ও কামড়ে ধরা, বমিবমি ভাব, গা গুলোনো, বমি, ডায়রিয়া, তীব্র মাথার যন্ত্রণা, পেশিতে টান ধরা, জিভ, ঠোঁট, মুখের মধ্যে অবশ হয়ে যাওয়া, জ্বর, ত্বকে দাগ ও লালচে ভাব, ত্বক ফুলে যাওয়া, আচমকা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
বেশি মাছ খেলে কী কী বিপদ হতে পারে –
অনেক মাছে প্রচুর পরিমাণে পারদ থাকে যা বেশি পরিমাণে আমাদের শরীরে গেলে বমিবমি ভাব, তলপেটে প্রবল যন্ত্রণা, বমি হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে এসব মাছ যার মধ্যে বেশি করে পারদ থাকে তা খেলে অন্ত্রের মধ্যে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস হয়ে যায়। খাবার ভালো করে হজম করা যায় না। অনেক সময় অনেক মাছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে।
বেশি পরিমাণে সোডিয়াম শরীরে গেলে হজমের সমস্যা, পেট ফোলা ও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। মাছে ফাইবার থাকে না। তাই বেশি পরিমাণে মাছ খেলে শরীরে ফাইবারের ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলে শরীরে খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হয়। অনেক মাছে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসব মাছ খেলে স্বাভাবিক ভাবেই হজমের সমস্যা, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
অনেক সময় মাছ খেলে অ্যালার্জি হয়। বমি, পেট ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় মাছের বৃদ্ধির জন্য ইঞ্জেকশন দিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ঢোকানো হয় মাছের শরীরে। এসব মাছ খেলে হজমের সমস্যা হয়, সংক্রমণ হয়। নদী বা পুকুরের জলে অনেক সময় ক্ষতিকর বর্জ্য, রাসায়নিক মেশে। এসব মাছের শরীরে গেলে সেই মাছ আমরা খেলে নানান রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে।