
The Truth of Bengal: শিল্পীর কোন মৃত্যু নেই তবু সাল পঞ্জিকার নিয়মে আজ ২৪ শে জুলাই। মহানায়কের ৪৪ তম প্রয়াণ বার্ষিকী। জন্ম মৃত্যুর এই ঘেরাটোপে ও কিছু মানুষ অমর হয়ে রয়ে যায়। স্বর্ণযুগের গানের মতই থেকে যান চিরকালীন। মহানায়ক উত্তম কুমার আপামর বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় মৃণাল হয়ে ফুটে রয়েছেন। তিনি চিরকালীন বসন্তের মতো। মৃত্যুর এত বছর পরেও, তিনি আজও জীবন্ত। রেখে দিয়েছে ঠোঁটের ডগায় এক চিলতে হাসি চোখের কোনে একরাশ রোমান্টিকতার আভাস। অসাধারন ব্যক্তিত্বের প্রকাশ উত্তম কুমার।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবেই তাকে গণ্য করা হয় যিনি বাঙালি সংস্কৃতির আইকন বাংলার মেটানি আইডল তার ভক্তরা আজও তাকে গুরু বলেই মানে ১৯৪৮-এ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি দৃষ্টিদান থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা ২০২টি এর মধ্যে ১৫ টি হিন্দি ছবিতেও তিনি অভিনয় করেছিলেন 1967 সালে চিড়িয়াখানা এবং এন্টনি ফিরিঙ্গের জন্য তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের সবচাইতে জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা হিসেবেই ধরা হয়। আরো অসংখ্য ছবি যা এখানে তুলে ধরলে হয়তো লেখাই শেষ হবে না।। অথচ এমন একটা সময় ছিল যখন ইন্ডাস্ট্রিতে তার নাম রাখা হয় ফ্লপ মাস্টার জেনারেল। কোন প্রযোজক বা পরিচালকই তাকে ছবিতে নিতে চাইতেন না বলা যায় এড়িয়ে চলতেন।
সেই সময় চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে তিনি পাকাপাকিভাবে কলকাতা বন্দরে চাকরি করার কথাও ভেবেছিলেন। অবশেষে পাহাড়ী সান্যালের তত্ত্বাবধানে, ১৯৫২ সালে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। অভিনয় করলেন বসু পরিবার ছবিতে।। যা আজ ইতিহাস হলেও সেটাই ছিল তার কাছে কঠিন বাস্তব। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে ধীরে ধীরে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন উত্তম কুমার উত্তম কুমার এক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র নায়ক নন অভিনেতা থেকে মহানায়ক আবার মহানায়ক থেকে অভিনেতা এই দীর্ঘ যাত্রাপথে আপামর বাঙালির জন্য রেখে গেছেন তার অজস্র সৃষ্টি রেখে গেছেন অতুলনীয় সম্পদ। সোমবার তার ৪৪ তম প্রয়াণ দিবসে বাঙালি তাঁকে স্মরণ করছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও সে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।