মসনদের লড়াই
Trending

Lok Sabha Election 2024 : বাংলায় সাত দফা কার স্বার্থে, বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা

Lok Sabha Election 2024 : In whose interest is the seven-phase vote in Bengal, an attempt to give an extra chance to the BJP

The Truth Of Bengal : ২০২৪ সালেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে সাত দফায়। অর্থাৎ ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি। গোটা দেশে অবশ্য সাত দফাতে নির্বাচন আয়োজন করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সাত দফায় ভোট হবে বিহার, বাংলা ও উত্তরপ্রদেশে। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু, ৪২ আসনের বাংলায় কেন আগেরবারের মতো এবার সাত দফায় ভোট হতে চলেছে? যা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি। ২০২৪ সালেও বাংলায় লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে সাত দফায়। গোটা দেশে অবশ্য সাত দফাতে নির্বাচন আয়োজন করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু, ৪২ আসনের বাংলায় কেন আগেরবারের মতো এবার সাত দফায় ভোট হতে চলেছে? আইন শৃঙ্খলার কথা বলে হলেও রাজ্যের পরিস্থিতি এমন নয় যে ৪২টি আসনের জন্য সাত দফা ভোট করতে হবে। এমনিতেই হাজার কোম্পানির কাছাকাছি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। এত বাহিনী যখন ৪২ আসনের একটা রাজ্যের জন্য আনা হচ্ছে, তখন দুই বা তিন দফায় ভোট করা কি খুব কঠিন হতো নির্বাচন কমিশনের কাছে?

রাজ্যে সাত দফা ভোট নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। আরও বেশি দফায় ভোট করা হলেও আপত্তি না করে খুশিই হতো কেন্দ্রের শাসক দল। এতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বিজেপির চাওয়া পূরণ হয়েছে কমিশনের সাত দফার সিদ্ধান্তে। আসলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কথা বলেও বাংলার জন্য ভোটের যে সূচি করা হয়েছে তাতে লাভ হবে বিজেপির। কারণ বাইরের রাজ্যের নেতাদের এনে বাংলায় ভোটের প্রচার করতে পারবে বিজেপি।

এই রাজ্যে তৃণমূলের তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যে বড় মুখ সামনে রাখতে হবে বিজেপির, তা তাদের হাতে নেই। তাই ভরসা মোদি-শাহের মতো নেতারা। সেই সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। বাংলায় দুই বা তিন দফায় ভোট হলে দিল্লির নেতাদের কম সুযোগ থাকত প্রচারের। আর সেই জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অল্প দফার নির্বাচন সূচি করা হয়েছে। যাতে অল্প সময়ে ভোট প্রক্রিয়া সেরে সেই সব রাজ্যের বড় বড় নেতারা ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন বাংলায়। তখন বাংলার আকাশে দেখা যাবে পাখির মতো উড়ছে হেলিকপ্টার। দিল্লির বিজেপি নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন। আগের লোকসভা নির্বাচনে সেটাই দেখা গিয়েছিল। এবারও তা হতে চলেছে।

এখানে লক্ষ্যণীয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বারাণসী কেন্দ্রে ভোট আছে শেষ দফায়। তার আগে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ২৫মে। তার আগে সেখানে প্রচার শেষ হবে ৪৮ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ২৩ মে। সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট হবে ১ জুন। মাঝখানে প্রচারের সময় পাওয়া যাচ্ছে পাঁচদিন। সেই পাঁচদিন প্রধানমন্ত্রী পড়ে থাকবেন নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে। তার আগে তিনি চষে বেড়াবেন অন্য রাজ্যগুলিতে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে। প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ ব্যবহার করতে বাড়তি অনেকটা সময় পাবে বিজেপি।

ভোটকে বলা হয় গণতন্ত্রের উৎসব। বহু ধর্মের, বহু ভাষার দেশ ভারতে আছে মিশ্র সংস্কৃতি। তাই স্বাভাবিক আছে উৎসবের রকমফের। কিন্তু, গোটা দেশে এক রঙের উৎসব করার সুযোগ ছিল গণতন্ত্রের উৎসবে। তা হল না। এক এক রাজ্যে এক এক দফায় ভোট। গোটা দেশের একযোগে এই গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে ওঠার সুযোগ নেই। এই বাংলায় যে যে উৎসব চলবে ৪৪ দিন ধরে। একটা রাজ্যের জন্য গণতন্ত্রের উৎসবের এই দীর্ঘায়িত সময় একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল।

 

FREE ACCESS

Related Articles