অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের
Finally the junior doctors announced to withdraw the strike and return to work

Truth Of Bengal: Saif Khan: ধর্মতলা থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন এবং কাজে ফিরে আসবেন। তবে, তাঁরা নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ধর্মতলায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছেন এবং তাঁদের মতে, “জিবি বৈঠকের পর আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কর্মবিরতি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার হবে, কিন্তু আমরা ধর্মতলায় তীব্র আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি।”
জুনিয়র ডাক্তাররা শুক্রবার একটি ঘড়ি নিয়ে এসেছিলেন যা তাঁরা অবস্থান মঞ্চের সামনে টাঙিয়ে দেবেন। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতি মিনিট, প্রতি ঘণ্টার হিসাব রাখা হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবনের বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।”
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, “আমরা কোনও চাপের মুখে পড়ে নয়, বরং সাধারণ মানুষের পরিষেবার কথা মাথায় রেখে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি।”
ধর্মতলা থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ঘোষণা, “আমরা ১০ দফা দাবি নিয়ে অবস্থানে বসছি।” তাঁদের অভিযোগ, “ওয়াই চ্যানেলের সামনে আমাদের সহযোদ্ধাকে পুলিশ টেনেহিঁচড়ে সরিয়েছে। আমরা পুলিশকে সেই ভিডিও দিয়েছি। তারা কে করেছে তা চিনি না বলছে। আমাদের থেকে লিখিত অভিযোগ চাইছে, কিন্তু ভুল স্বীকার করতে পারছে না।”
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে সুবিচারের দাবি চেয়ে এখনো সরব জুনিয়র ডাক্তার সহ গোটা রাজ্যবাসী। প্রতিদিনই চলছে প্রতিবাদ মিছিল ও নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি। এর মধ্যেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সাথে ধর্মতলা চত্বরে মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশের সাথে বচসা বাধে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসদের একপ্রকার টানাহ্যাঁচড়া করে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। তারপরই ধর্মতলা মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তার ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে একাংশ। চরম ভোগান্তির শিকার হয় পথচলতি মানুষ। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
মহালয়ার পর শুক্রবার, জুনিয়র চিকিৎসকরা সুবিচারের দাবিতে ফের পথে নেমেছিলেন। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করার কথা ছিল তাঁদের। মঞ্চ বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে একটি ছোট ম্যাটাডোর আসে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ মঞ্চ বাঁধতে বাধা দিয়েছে। এক জুনিয়র চিকিৎসকের উপর হামলা হয়েছে এবং তাঁর মোবাইল ফোন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এবং আন্দোলনকারীরা পুলিশকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে তাঁরা ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বসে বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনায় ধর্মতলা চত্বর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুজোর মুখে ধর্মতলায় কেনাকাটির ভিড় এবং অফিস ফেরত আমজনতার উপস্থিতির কারণে সবাই চরম ভোগান্তির শিকার হন।