লাইফস্টাইলস্বাস্থ্য

মন খুশ তাই কি ঘুম কম হচ্ছে? কি বলছেন গবেষকরা? জানুন 

Just Because You Are Happy Your Sleeping Habits Are Getting Effected? Know The Real Facts By Researchers

The Truth Of Bengal, মৌ বসুঃ আমরা যত মানসিক ভাবে সুখী, খুশি থাকব ততই আমরা কম ঘুমোব। মন দুঃখী থাকলে ঘুম ঘুম ভাব দেখা যায়। আমরা যখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, অখুশি, অসুখী, মানসিক ভাবে দুঃখী থাকি তখন আমাদের মস্তিষ্ক থেকে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের নিঃসারণ হয়। এই হরমোন দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। মানসিক অবসাদে ভুগলে সারাদিন ধরে অনেকেরই ঘুম ঘুম ভাব, ক্লান্তি ভাব লক্ষ্য করা যায়। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে বলে ‘Atypical Depression’। এমন মানসিক অবসাদে রোগীর মুড ভালো হয় ইতিবাচক ঘটনা ঘটলে। তবে তা হয় সাময়িক ভাবে। কারণ অবসাদ রয়েই যায়।

অনেক সময় রোগী বুঝতেও পারে না যে সে মানসিক অবসাদে ভুগছে। বেশি সময় ধরে ঘুমোনো ছাড়া খাই খাই ভাব বেড়ে যাওয়া আর কেউ আমায় ভালোবাসে না সবাই দূরছাই করে হল এই রোগের উপসর্গ। মানসিক অবসাদ ভোগা একজন হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে ঘুম হল সমস্যা থেকে পালানোর উপায়। অবসাদগ্রস্ত হলে শরীরের অভ্যন্তরীন ঘড়ি বা ক্লক যাকে ‘Circadian Rhythm’ বলে তাতে বিঘ্ন ঘটে। যে সময় ঘুমোনোর বা যতটা ঘুমোনোর সবেতেই ব্যাঘাত ঘটে।

‘Journal of Clinical Psychiatry’ নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, কম ঘুম কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টি ডিপ্রেশনট বা অবসাদরোধী হিসাবে কাজ করে। নয়া একটি মেটা-অ্যানালিসিসে দেখা গেছে, কম ঘুম আসলে মুড বুস্ট আপ করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। ঘুমের অভাবজনিত ৬০টির মতো কেস স্টাডি করার পর পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সিদ্ধান্তে এসেছেন যে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ পরিস্থিতিতে ঘুমের অভাব আসলে মানসিক অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। গবেষকরা ২ ভাগে ঘুমের অভাবে ভোগা রোগীদের ভাগ করেছেন। এক, আংশিক অর্থাৎ যারা দিনে ৩-৪ ঘণ্টা ঘুমোয় আর ২০-২১ ঘণ্টা জেগে থাকে। দ্বিতীয়ত, ঘুমের অভাবে যে সব রোগী টানা ৩৬ ঘণ্টা জেগে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগের উপশম হয়েছে।

Related Articles