গণতন্ত্রের উৎসবে ভোট প্রচারে ঢাকিদের ঢাকে কাঠি, চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি
In the festival of democracy, the dhakis are covered with sticks,

The Truth Of Bengal: কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এখন আবার তালিকায় আর একটা পার্বণ যুক্ত হয়েছে। গণতন্ত্রের উৎসব অর্থাৎ ভোট পার্বণ। সেই উৎসবের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শুধু পুজোয় নয়, এখন ভোটের ময়দানেও ডাক পড়ে ঢাকিদের। চলছে প্রস্তুতি। ডাক পড়লেই বেরিয়ে পড়তে হবে। তাই ঢাকিদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। ভোট উৎসব আসন্ন। এই ভোট উৎসব এখন বাঙালির বারো মাসে ১৩ পার্বণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শরতে যেমন আকাশে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুজো পুজো গন্ধ, তেমনই এখন ভোট উৎসবের আবহ বাংলার আকাশে বাতাসে। ভোট যখন উৎসব, তখন ঢাকিদের তো প্রয়োজন। কারণ এখন এখন ভোটের ময়দানেও ডাক পড়ে ঢাকিদের। তাই চলছে প্রস্তুতি।
ডাক পড়লেই বেরিয়ে পড়তে হবে। সেইজন্য ঢাকিদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে রুটি-রুজি নির্ভর করে ঢাকিদের। কিন্তু এই সমস্ত পার্বণগুলি ছাড়াও ভোটের মরসুমে মুখে হাসি ফোটে ঢাকিদের। তাই ভোট মানেই ঢাকিদের কাছে যেন একটি বাড়তি পার্বণ। দুর্গাপুজোর মরসুম থেকে শুরু হয় কাজ। দুর্গাপুজোর পর ধাপে ধাপে ঢাকিরা বিভিন্ন পুজোয় অংশ নেন। এবারে সেই তালিকায় জুড়েছে ভোট। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রচার বর্ণময় করতে দল এখন ঢাকিদের সঙ্গে নেয়। এবার যে কোনও সময় ডাক পড়তে পারে। তাই রায়গঞ্জের নট্টপাড়ার ঢাকিরা ধুলো ঝেড়ে ঢাক পরিষ্কার করে নিচ্ছেন। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ভোট হবে আগামী ২৬ এপ্রিল। এখনও প্রায় মাস দেড়েকের অপেক্ষা। এখন থেকেই প্রচারে ঢাক বাজানোর বরাত আসছে ঢাকিদের কাছে। এখন শুধু আর পুজো নয়, ঢাকিরা অপেক্ষা করে থাকেন ভোট উৎসবেরও।
হাতে সময় আছে প্রায় দেড় মাস। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বরাত দিচ্ছে। তাই টাকা কাজের সুযোগ ঢাকিদের সামনে। পুরনো ঢাক ঠিক করে নেওয়ার পাশাপাশি অনেকে নতুন ঢাক বানাচ্ছেন। এবার ভোটের প্রচারে ঢাকিদের ঢাকে কাঠি পড়ল বলে।