
The Truth of Bengal: শীতের মরসুমে পর্যটকদের নতুন ঠিকানা ঝাড়গ্রাম জেলার ঝিল্লি পাখিরালয়। ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশার সীমান্ত ঘেঁষা স্থানে অবস্থিত এই ঝিল্লি পখিরালয়। বর্তমানে এই পাখিরালয়কে নতুন করে সাজিয়ে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষনীয় করে তোলা হয়েছে। জঙ্গলের ধারে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে এটি। চারপাশের ঝিল্লি লেকের টলটলে জল ও পাখির কলরবে মনের ক্লান্তি অনায়াসে দূর হয়। পর্যটকদের জন্য এখানে লেকের ধারে পাথর দিয়ে বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। যেখানে আপনি বসে শান্তিতে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দেখতে পারবেন। এখানে বয়ড়া, অর্জুন, শাল,সোনাঝুরির গাছের দেখা মেলে। এইসব গাছ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থেকে ঘন জঙ্গলের সৃষ্টি করেছে।
জঙ্গলের পাশে লেকের জলে নৌকা বিহারের ব্যবস্থা আছে। এই লেকে বিভিন্ন ধরণের পাখী দেখতে পাওয়া যায়। এই পাখিরালয়ের কাছেই বাচ্চাদের জন্য একটি পার্ক আছে। এছাড়া আপনার একান্ত প্রিয়জনের সাথে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মনপ্রাণ ভরে উপভোগ করার জন্য একটি ফল ও ফুলের সাজানো গোছানো বাগানও আছে। গোপীবল্লভপুর থেকে হাতিবাড়ি যাওয়ার পথে দহমুণ্ডা চক থেকে বাঁদিকে সাত কিলোমিটার জঙ্গল ঘেরা কাঁচা রাস্তা পেরোলেই এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়। পর্যটকদের জন্য ইতিমধ্যে রাস্তায় সৌর আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বসানো হয়েছে পাম্পও। পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে অতিথি নিবাস নামে দুটি কটেজ। যার প্রতিটির এক দিনের ভাড়া খাওয়া বাদে জনপ্রতি ৮০০ টাকা। তবে কেউ ইচ্ছে করলে ২৩ কিলোমিটার দূরের গোপীবল্লভপুরে গিয়ে রাত্রি যাপন করতে পারেন।
এখানে আসার আদর্শ সময় শীতকাল। কারণ শীতের মরশুমে সাইবেরিয়া থেকে নানান ধরনের পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসে ভিড় করে। গোপীবল্লভপুর থেকে মাত্র ২৩কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঝিল্লি পাখিরালয়। এবং ঝাড়গ্রাম থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই কলকাতা থেকে সহজেই একটা গাড়ি নিয়ে ঘন্টা পাঁচেকের জার্নি করলেই পৌঁছে যাবেন এই ঝিল্লি পাখিরালয়। রাজ্য পর্যটন দপ্তর জঙ্গল মহলের পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে তুলেছেন এবং ক্রমশ আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের কাছে। তাই আর দেরি না করে এই শীতের ঠান্ডায় উইকেন্ড ট্যুর হিসেবে ঘুরে আসুন ঝিল্লি পাখিরালয়।