এসআইআর-এর কাজের চাপে মধ্যপ্রদেশে দুই বিএলও-র মৃত্যু
যদিও প্রশাসনের দাবি, তিনি অসুস্থতার কারণেই মারা গিয়েছেন, পরিবার তা মানতে নারাজ।
Truth Of Bengal: ফের এসআইআর- এর অতিরিক্ত কাজের চাপে দুই বিএলও-র মৃত্যু। মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত দুইজনই পেশায় স্কুল শিক্ষক এবং পাশাপাশি ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। মৃতদের নাম রমাকান্ত পাণ্ডে এবং সীতারাম গন্ড। তাঁরা রাইসেন এবং দামোহ জেলার বাসিন্দা।সূত্রের খবর, রমাকান্ত পাণ্ডে সুলতানপুর এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসেবে কাজ করছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও প্রশাসনের দাবি, তিনি অসুস্থতার কারণেই মারা গিয়েছেন, পরিবার তা মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ,এসআইআর-এর কাজ নিয়ে প্রচণ্ড চাপেই রমাকান্তের মৃত্যু হয়েছে।দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।এদিকে একই জেলায় আর এক বিএলও নারায়ণ দাস সোনি-র নিখোঁজ থাকার ঘটনাও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তিনি ছ’দিন ধরে নিখোঁজ। পুলিশ ও পরিবার মিলে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, দামোহ জেলার রানজ্রা গ্রামের শিক্ষক সীতারাম গন্ড–ও বিএলও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোটার এনুমারেশন ফর্ম পূরণের সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পরের দিন, শুক্রবার সকালেই তিনি মারা যান।পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এসআইআর-এর কাজের চাপ ও মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন সীতারাম। তার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দু’টি মৃত্যুই এসআইআর-এর কাজের চাপকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রশ্ন তুলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একই জেলার একজন বিএলও-র মৃত্যু, একজন নিখোঁজ এবং রাজ্যের অন্য প্রান্তে আরেক বিএলও-র মৃত্যুর ঘটনা ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।






