দেশে চরম দারিদ্রতার হার কমেছেঃ বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে আশার আলো
Extreme poverty rate in the country has decreased: World Bank report provides hope

Truth Of Bengal: স্বাধীনতার পর দারিদ্রতা দূরীকরণ কর্মসূচি শুরু করে ভারত সরকার। ধারাবাহিক সেই কাজের সুফল মিলতে শুরু করেছে। এমনটাই মনে করছে অর্থনীতিবিদদের একাংশ। কারণ বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে,চরম দারিদ্রতার হার কমছে। হিসেব বলছে, ২০১১-১২সালে দারিদ্রতার হার ছিল ২৭.১শতাংশ, ২০২২-২৩সালে সেই দারিদ্রতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫.৩শতাংশ। আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যে স্পষ্ট,৩৪৪.৪৭ মিলিয়ন থেকে ৭৫.২৪মিলিয়নে নেমে এসেছে।
বিশ্বব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী, দৈনিক ২.১৫ ডলারের ভোগ্যব্যয়,যা ২০১৭ সালের দামের ভিত্তি করে আগের দারিদ্রসীমা ছিল-সেসময় চরম দারিদ্রসীমার মধ্যে ভারতীয়দের অংশ ছিল ২.৩শতাংশ।তথ্য বলছে,২০১১-১২সালের দারিদ্রতার হার ছিল ১৬.২শতাংশ।বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্যে স্পষ্ট,২০২২সালে দৈনিক ২.১৫ডলারের দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৩৩.৬৬মিলিয়নে রেকর্ড করা হয়েছে,যা ২০১১সালে এই সংখ্যাটা ছিল ২০৫.৯৩মিলিয়ন ছিল।
বলা যায়,দারিদ্রতা দূরীকরণে ভারত সরকার বরাবরই বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। ১৪২কোটির দেশে দারিদ্রতার হার কমানোর জন্য রোজগারমুখী প্রকল্প বাড়ানো জরুরি। দিন আনি দিন খাই মানুষের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে সরকার পক্ষ নানা প্রকল্প কার্যকর করছে। বিশ্বের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কাজও চলছে পর্যায়ক্রমে। মূল্যবৃদ্ধি-মুদ্রাস্ফীতির মতো জ্বলন্ত সমস্যা দূরীকরণে যথাযথ নীতি প্রনয়ণ যে জরুরি তা অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।