সম্পাদকীয়

আর থাকবে না বহু দূর এবার আসবে নাগালে

It won't be far anymore, it will be within reach now.

Truth Of Bengal: মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ব্রিজ তৈরি হোক। ব্রিজ তৈরি হলে সাগরদ্বীপের প্রতিটা মানুষের আর্থিক উন্নতি ঘটবে। তেমনই প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ যে পুণ্যার্থী এসে এখানে ভিড় জমান, তাঁদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে আর কোনও অসুবিধা থাকবে না। তাঁরা খুব সহজেই গঙ্গাসাগরের পূণ্যভূমিতে এসে পৌঁছে যাবেন। গঙ্গাসাগরবাসীর এটা যেমন কথা, তেমনই পর্যটন বা তীর্থের জন্য যারা গঙ্গাসাগর আসেন তাঁদেরও এটা কথা। স্থলভূমি থেকে জল পেরিয়ে পৌঁছতে হয় গঙ্গাসাগর।

আবার জোয়ার-ভাটার কারণে ভেসেল চলাচলে সমস্যা হলে বিস্তর ভোগান্তি পোহাতে হয়। প্রায় চার কিলোমিটার চওড়া মুড়িগঙ্গাতে সেতু তরি করা বললেই তা সম্ভব নয়। ফলে সেতু তৈরির জন্য বারবার কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপেক্ষা করিয়ে রাখলেও ইতিবাচক ভূমিকা দেখায়নি। গোটা দেশ যে গঙ্গাসাগরে এসে মিলিত হয়, সেই জায়গায় সত্যিই একটি সেতু দরকার।

তাই সেতু গড়তে উদোগী হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচে এই সেতু তৈরি হতে চলেছে। টেন্ডার, নক্সা-সহ সব কাজ হয়ে গিয়েছে। এবার কাজ শুরু অপেক্ষা। তিন থেকে চার বছরের মধ্যে হয়ে যাবে সেতু তৈরি। সেই সেতুর হাত ধরে গঙ্গাসাগরের আধ্যাত্মিক পর্যটনে নয়া দিগন্ত খুলে যাবে। সাগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, মুড়িগঙ্গা নদীর ওপরে সেতু হোক৷ যার ফলে তাদেরও জীবনযাত্রার অনেকটাই মানোন্নয়ন হবে। তবে দীর্ঘদিন ধরে অনেক পরিকল্পনা করা হলেও ফল লাভ হচ্ছিল না কোনও কিছুই।

তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হতে চলায় উচ্ছ্বসিত সাগরবাসী। এই সেতু তৈরি হয়ে গেলে সাগর আর বহু দূরে থাকবে না। চলে আসবে হাতের মুঠোয়। কুম্ভ মেলাকে অনেক আগেই জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার। সেই মেলার পরিকাঠামো সহ নানা কাজে কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। সাগর মেলায় আসে গোটা দেশের মানুষ।

এই মেলা কেন জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পাবে না? কেন্দ্র জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দিলে হয়তো সেতু তৈরির উদ্যোগ নিত। কেন্দ্র যখন এই করেনি, তখন মানুষের জন্য সেই কাজে এগিয়ে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই উদোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি ভিনরাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীরা।

Related Articles