দূর্গাপুজোর থিমে চমক আনতে নতুন শিল্পীদের নিয়ে শুরু হল ওয়ার্কশপ
Theme Durga Puja Workshop

The Truth of Bengal: বাজল রে আলোর বেণু,মাতল রে ভুবন বা আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠবে আলোক মঞ্জরি। মহামায়ার আগমনের আগে এই সুর বাঙালি তো বটেই উত্সবপ্রেমী আবিশ্বের মানুষকে মোহিত করে তোলে।একমাস পরেই উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়বে,আপামর পুজোপ্রেমী মানুষ ঢাকের তালে কোমর দোলাবেন।কাশ ফুলের দোলা আর ভাসমান মেঘের আনাগোনা, জানান দিচ্ছে,আশ্বিন মাসের শারদপ্রাতের বিশ্বজনীন উত্সব শুরু এখন সময়ের অপেক্ষা। দুর্গোত্সব এখন থিমের স্পর্শে আরও রঙিন হয়ে উঠেছে।
রং বাহারি –রকমারি উৎসব অঙ্গনে বিষয় ভাবনা আলাদা টাচ দেয়। শহরে থিম পুজো চালু হয়েছে কুড়ি বছরের ওপরে।কলকাতার মতোই জেলার পুজোতেও থিমের আধিক্য দেখা যাচ্ছে।একথা বুঝেই বাজার ধরার কাজে নেমেছেন শিল্পীরা। কিভাবে কারুকার্যে বিষয়কে উৎকর্ষরূপে তুলে ধরতে হবে তা অভিজ্ঞ শিল্পীরাই হাতেকলমে শেখাচ্ছেন নন্দকুমারের ওয়ার্কশপে। ।কর্মশালায় যোগ দিয়ে উৎসবের আগে উদ্যোগী যুবকরা হাতে কলমে অনেক কিছু শিখছেন।তাত্বিক ভাবনার সঙ্গে বাস্তবের রূপায়ণের অপরূপ মেলবন্ধন করা হচ্ছে এই কর্মশালায়।
সোলার বিভিন্ন ধরনের মুর্তি, ফুল, পাখি, সহ অন্যান্য আকর্ষণীয় মন্ডপ সজ্জার কাজ করে থাকে। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাদের তৈরি থিমের মন্ডপ সেজে উঠছে। যাঁরা সৃষ্টির মঞ্চে সুখ্যাতির ডানা মেলতে চান,তাঁরা শৈল্পিক দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে উৎসব থেকেই আয় করছেন। শোলা আর প্লাস্টিক জাতীয় পেপার কেটে সুন্দর সুন্দর মুর্তি, পশু পাখি,ফুল,আল্পনার মধ্যদিয়ে থিমের মন্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়।এক একজন শিল্পী কাজ করে মাসে প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা উপার্জন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
করোনা সময় কয়েকটা বছর খারাপ সময় ছিল। বর্তমান সময়ে সুদিন ফিরেছে। শারদোৎসব উপলক্ষে নতুন প্রজন্মকে শিল্পোদ্যোগে যুক্ত করে উপার্জনক্ষম করার এই অনন্য ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে অনেকে বলছেন। থিমের বাজারে রোজগার বাড়ানোর এই ভাবনা সবমহলকে আশান্বিত করছে।