
The Truth of Bengal: ঠাণ্ডা সেভাবে পড়েনি।কাঁপন এখন লাগছে না। তবে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। এই আমেজ বুঝেই রসিকরা আহ্লাদের রস পানের জন্য গাছে গাছে হাঁড়ি বাঁধছেন। শিউলিরাওও রসিকজনদের মন ভরাতে নতুন উদ্যমে কাজে নেমেছেন। খেজুড় গাছের সংখ্যা কমায় এমনিতেই রস সংগ্রহ করা মুশকিল। তবুও মহল্লায় মহল্লায় যেটুকু খেজুড়গাছের দেখা মিলছে তাতেই কাজ সারতে চাইছেন তাঁরা।নদিয়া থেকে গাছিরা চলে এসেছেন পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে।
সেখানে কিভাবে রস সংগ্রহের কাজ চলছে দেখব আমরা।ঠাণ্ডা না পড়ায় রস সেভাবে না মেলায় কিছুটা চিন্তায় শিউলিরা। খেজুর গুড়ের স্বাদ ও গন্ধ পেতে গেলে দরকার পর্যাপ্ত শীত। এখন সংগৃহীত খেজুর রসের পরিমাণ যেমন কম হচ্ছে তেমনি তার গুণমান কম। উৎপন্ন খেজুর গুড় ও পাটালির মধ্যে চির পরিচিত স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তবু আশায় বুক বাঁধছেন রসপ্রিয় মানুষ। তাঁরা গুড় তৈরি থেকেই রসের সাগরে ডুব দিতে চান।
হুগলি সহ অন্যজেলার মানুষও এই আউসগ্রামে ছুটে আসছেন,খেজুড় রস ও গুড়ের টানে গ্রামের সকলে মেতে উঠেছেন নবান্ন উৎসবে। নতুন ধানের পায়েস আর পিঠেপুলি এই উত্সবের বড় আকর্ষণ।তাই নবান্ন থেকেই অনেকে খেজুড় রস ও খেজুড় গুড় বাড়িতে মজুত করছেন।এরপর পৌষমাসে এই নলেন গুড়ের চাহিদা বা়ড়বে।রসগোল্লা থেকে সন্দেশ,সবেই আলাদা ফ্লেভার যুক্ত করবে এই নলেন।তাই সবকিছু ছেড়ে শিউলিদের একটাই প্রার্থনা সকাল সকাল যেখানে হাঁড়ি ভরে ওঠে রসে..