রাজ্যের খবর

ধাপে ধাপে জল ছাড়ছে ডিভিসি, একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি

The decision to release 70,000 cusecs of water has created a flood situation in several districts of South Bengal

The Truth of Bengal: রবিবার থেকে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এরমাঝে ডিভিসি ধাপে ধাপে ৭০হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।যারজন্য বীরভূম,হুগলি,পঃমেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলার নদীগুলোতে জল বাড়ছে।এই অবস্থায় ডিভিসিকে নবান্নের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে,রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া জল আর ছাড়া যাবে না। কয়েকবছরই একটু বেশি বৃষ্টি হলেই জল ছেড়ে দেয় ডিভিসি। অন্যান্য বছরের মতোই এবারও ডিভিসি জল ছাড়তে তত্পর। ধাপে ধাপে ৭০হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে। যারজন্য  হুগলি, বীরভূমের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে সদাইপুর থানার অন্তর্গত রেঙ্গুনি গ্রামের চল্লিশটির কাছাকাছি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। যে কারণে ওই এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। এই এলাকা প্রত্যেক বছরই একটু বেশি বৃষ্টি হলেই ডুবে যেতে দেখা যায়। অন্ততপক্ষে গত কয়েক বছর ধরে এমনই পরিস্থিতি চলছে।

অন্যদিকে রাতভর বৃষ্টির ফলে পুরন্দরপুর থেকে সাঁইথিয়া যাওয়ার যে বাইপাস রয়েছে সেই বাইপাস জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাইপাস জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরবাইক আরোহীরা রাস্তা পারাপার করছেন। অন্যদিকে একইভাবে ভাষা ব্রিজ জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। তবে যে সকল চারচাকা বা বড় যানবাহন রয়েছে সেগুলি ঘুর পথে যাতায়াত করছে। এমন পরিস্থিতির কারণে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বর্ধমান শহর এলাকায় শুক্রবার জল জমেছিল,শনিবার থেকে সেই জল নামতে শুরু করেছে। হুগলির পুরশুড়া,খানাকুল সহ এখনও বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন। ২দিনে হুগলিতে ১৭০মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ঘাটাল-চন্দ্রকোণাতেও জল জমে রয়েছে চাষের জমিতে।ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে এর আগেও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবু ডিভিসি কথা না শোনায় রাজ্যের বেশি কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মুখ্যসচিব বিপিগোপালিকা সমস্ত জেলাশাসকও আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন,উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে। বাংলার সরকার ডিভিসিকে কড়া বার্তা দিয়েছে,রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কখনই জল ছাড়া যাবে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর শহরেও কার্যত জল থৈ থৈ অবস্থা। পুর এলাকায় বেশির ভাগ রাস্তাই জলের তলায়। পাম্প বসিয়ে জল নিকাশির চেষ্টা করেন পুর  কর্মীরা। শনিবার সকালে জল ছাড়া হয়েছে জলপাইগুড়ির তিস্তা-গাজলডোবা ব্যারাজ থেকেও। জলপাইগুড়ির সেন্ট্রাল ফ্ল্যাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর, মোট ২,৫৯৯ কিউসেকের কিছু বেশি জল ওই ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয়েছে। এর ফলে তিস্তায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বৃষ্টির কারণে এমনিতেই তিস্তা ফুঁসতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিনও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুরআবহাওয়া দফতর।

Related Articles