রাজ্যের খবর

হাডুডু খেলার অবাক পুরস্কার! তালিকায় ছাগল, খাসি, মুরগির মাংস

Surprise prize of the game of Hadudoo! The list includes goat, khasi, chicken meat

Truth Of Bengal: নদীয়া জেলার শান্তিপুর মহকুমার চাঁদকুড়ি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় এক হা-ডু-ডু বা কাবাডি টুর্নামেন্ট। সারা রাত্রব্যাপি এই টুর্নামেন্টটি চলে। নদিয়া ছাড়া একাধিক জেলার খেলোয়াড়রা এ খেলায় অংশ নেয়। এই খেলায় প্রথম বিজেতা দলের জন্য ছিল খাসি মাংস, দ্বিতীয়দের জন্য ছিল ছাগল আর তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের জন্য ছিল ১০ কেজি মুরগির মাংস। আয়োজকদের থেকে জানা গিয়েছে, মোট ১৬ টি দলের মধ্যে এই হা-ডু-ডু খেলাটি হয়। খেলা শেষে সকালে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যরা সহ হরিপুর পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাতো সা রারাত প্রত্যেকেই নিজেদের কাবাডি দল নিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। কাবাডি প্রতিযোগিতার সময় গ্রামবাসীরা আনন্দের সাথে উত্সব বাড়িয়েছেন দলগুলির। ৮ থেকে ৮০ সমস্ত বয়সের মানুষেরা রাত জেগে এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন। এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার দান করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই প্রতিযোগীতার আয়োজককারীরা ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩-৪ বছর ধরে চাঁদকুড়ি গ্রামে কাবাডি টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে। তবে এর পাশাপাশি তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে, ফুটবল বা ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারছে না কাবাডি খেলা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খেলা হল এই হা-ডু-ডু খেলা, কিন্তু ধীরে ধীরে তা বিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে। তার জন্যই গ্রামবাসীরা লোভনীয় পুরস্কারের মাধ্যমে এই খেলাটিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করে চলেছে প্রতি বছর। এলাকার মানুষ চান ভবিষ্যতে আরও মানুষ এই খেলাকে সমর্থন করুক।

হা-ডু-ডু সম্পর্কে আরও জানুন

বাংলাদেশে কাবাডি হা-ডু-ডু ভিন্ন নামে পরিচিত। এই খেলার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই, বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নিয়মে এই খেলা হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসাবে স্থান পায় এই কাবাডি খেলা। তার পর ১৯৭৩ সালে ওপার বাংলায় বাংলাদেশ অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়।

Related Articles