রাজ্যে বেড়েছে গণেশ পুজোর সংখ্যা, রোজগারের আশায় মুখে হাসি মৃৎশিল্পীদের
Ganesha pujas has increased in the state, the potters are smiling in the hope of earning

Truth Of Bengal: আগামীকাল গণেশ চতুর্থী। দেশজুড়ে মহাধুমধামে পালিত হবে গনেশ পুজো। দেশের বাইরেও গনেশ পুজোর চল ছড়িয়ে পড়েছে। মুম্বই সহ মহারাষ্ট্র জুড়ে গণেশ পূজার উন্মাদনা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তবে এখন শুধু আর নির্দিষ্ট জায়গাতে সীমাবদ্ধ নেই, অন্যান্য রাজ্যেও মহাধুমধামে পালিত হয় গণেশ পুজো।
পার্বতী পুত্রের পুজোর সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান বিগত কয়েক বছরে। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এখন গণেশ পুজোর ধুমধাম শুরু হয়েছে। সাড়ম্বরে উদযাপন হয় গণেশ বন্দনা। ব্যতিক্রম নয় পূর্ব মেদিনীপুরও। এই জেলার একাধিক জায়গায় ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন হয়ে থাকে। আর তাই মৃৎশিল্পীরা এখন যথেষ্টই ব্যস্ত।
এমনিতেই দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ চলছে পুরোদমে। তার মাঝে গনেশ প্রতিমা গড়ার অর্ডার বিভিন্ন মৃৎশিল্পীদের কাছে আসে যথেষ্ট। পুজোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের বাড়তি কিছু রোজগারের সংস্থান তৈরি হয়েছে। লক্ষ্মী লাভের আশায় মুখে হাসি মৃৎশিল্পীদের। বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা হিসাবে মানা হয় সিদ্ধিদাতা গণেশকে। রামনগর শহর সহ সৈকত শহরে শিব ও পার্বতী পুত্রের পুজোর সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান বিগত কয়েক বছরে।
ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গজাননের বিশেষ পুজো পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। অনেকের বিশ্বাস, বছরের এই বিশেষ দিনে গণেশ তাঁর ভক্তদের সমস্ত মনোস্কামনা পূরণ করেন। ভক্তদের আরাধনায় মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। আর সেই বিশ্বাস থেকেই হয় গণেশ পুজো। বাঁকুড়ার প্রান্তিক শহরেও গণেশ পুজোর চল বাড়তে শুরু করেছে বেশ কয়েক বছর যাবৎ। ছোট বড় ব্যবসায়ীরা মেতে ওঠেন গণপতির আরাধনায়। গত কয়েক বছরের তুলনায় গণেশ মূর্তির বায়না বেড়েছে বলেই জানালেন শিল্পীরা।
কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তাই প্রতিমা নির্মাণের খরচ অনেকটাই বেড়েছে। মৃৎশিল্পীরা বলেন, একটা প্রতিমা আগে যে দামে বিক্রি করা সম্ভব ছিল এখন আর তা হচ্ছে না। যেহেতু জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে আর তাই একটু বেশি দাম দিয়েই বেচতে হচ্ছে। এদিকে গণেশ পূজা উপলক্ষে ফলমূল সহ অন্যান্য সামগ্রীর বাজার জমে উঠেছে। দূর্গা পুজোর আগে গনেশ পুজোর আয়োজন। মৃৎ শিল্পী থেকে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা যথেষ্টই খুশি।