পরিবারের কুলদেবতা নেতাজি, সুভাষচন্দ্রের প্রতি আগাধ শ্রদ্ধা
Deep respect for family deity Netaji, Subhash Chandra

The Truth of Bengal: দেশবাসীর কাছে তিনি জাতির নায়ক। আর বর্ধমানের পিলখানা গলির সেন পরিবারের কাছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কুলদেবতা। তাই তাঁকে পুজো করেন পরিবার তথা এলাকার বাসিন্দারা। কথিত আছে,আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যপদ গ্রহণের জন্য নেতাজি বর্ধমানে আসেন। সেইথেকেই শহরের মানুষের কাছে আলাদা সম্মান পান তিনি। বাংলার দামাল ছেলে তিনি। একসময় তিনি ডাক দেন,তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
জীবন উত্সর্গ করে দেশমায়ের মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেন। আসমুদ্র হিমাচল একবাক্যে সেই নেতাজীকে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা,সম্মান করে।স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই অগ্নিপুত্রকে মনে মনে পুজো করেন প্রতিটি ভারতবাসী। আর বর্ধমানের পিলখানা গলির সেন পরিবারের কাছে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু কুলদেবতা। তাই তাঁকে পুজো করেন পরিবার তথা এলাকার বাসিন্দারা। কথিত আছে,আজাদ হিন্দ বাহিনীর সদস্যপদ গ্রহণের জন্য নেতাজি বর্ধমানে আসেন। সেইথেকেই শহরের মানুষের কাছে আলাদা সম্মান পান তিনি।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু জায়গায়। তারই মধ্যে অন্যতম একটি হল বর্ধমানের ৩৩নং ওয়ার্ডের পিল খানা গলির সেন পরিবারে। সেই থেকে আজও সেন পরিবারের কাছে নেতাজি কুলদেবতা বলা যেতেই পারে।এই বাড়িতে এসেছেন প্রায় দু থেকে তিনবার এবং রাত্রিবাসও করেছিলেন সেখানে। নেতাজির সেই আগমন আজ ও সেন পরিবারের কেউ ভোলেননি।
উচু উঁচু ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে নেতাজির ওপরের ঘরে যাওয়া, আরাম কেদারায় বসে বিশ্রাম নেওয়া, থাকা-খাওয়া আরো বহু স্মৃতি এখনো বয়ে চলেছে এ বাড়ির পুরনো ঘর দেওয়াল চৌহদ্দি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও নানান বই পত্র থেকে জানা যায় সুভাষচন্দ্র বসু বর্ধমানে এসেছিলেন ১৯৪০ সাল নাগাদ। সম্ভবত সেটাই ছিল তার শেষ বর্ধমানে আশা সে বারে তিনি এসেছিলেন তার বেশ কিছু কাজ নিয়ে। এবং তখনই এসে উঠেছিলেন ভামিনীরঞ্জন সেনের বাড়িতে।
এখন এই সেন পরিবারের বর্তমান সদস্য সুশান্ত রঞ্জন সেন ও এই পরিবারের গৃহবধূ মিতালী সেন জানান সম্ভবত ১৯৩৮-১৯৪২ সালের মধ্যে এক সময় এসেছিলেন এই বাড়িতে। তারা জানান তাদের পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শোনা কথা সেই সময় বর্ধমানের মহারাজা বিজয় সেনের খুব সুন্দর সাজানোর দু ঘোরায় টানা, সেই ঐতিহাসিক জুড়িতে চেপে নেতাজি এই বাড়ির সামনে এসেছিলেন।। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত খাট বিছানা থেকে শুরু করে আলমারি টেবিল এখনও সযত্নে তুলে রাখা আছে।