চাকরি চলে যাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা ক্যানিংয়ের শিক্ষিকার
Canning teacher attempts suicide after losing job

Truth Of Bengal: সুপ্রিম রায়ে ওঁদের জীবন-জীবিকায় বড় ধাক্কা লেগেছে। চাকরি চলে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।জীবনের ঘোর সঙ্কটে তাই চরম সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হচ্ছেন না কেউ কেউ।সেরকমই নজির মিলল ক্যানিংয়ে। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়নের মাঝেই চাকরি চলে যাওয়ার খবরে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি রুম্পা সিং। আদপে মেদিনীপুরের বাসিন্দা হলেও তিনি চাকরি করেন ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী হাইস্কুলে।
ইতিহাসের পাঠ দিয়ে যিনি পড়ুয়াদের পাশে থাকতেন,তিনিই হতাশায় ভেঙে পড়েন। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১৬-র প্যানেল বাতিল হতেই তাঁর জীবনে হতাশা গ্রাস করে।এরপর পাওনাদারদের বেপরোয়া হুমকিতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে জীবনে দাঁড়ি টানার চেষ্টা করেন তিনি। যাঁর সঙ্গে তিনি সংসার পাতার চেষ্টা করছিলেন,তিনিই মাঝপথে অঘটন ঘটাতে চাওয়ায়,প্রেমিকও দিশেহারা।
জুলুমের জেরেই আত্মহত্যার চেষ্টা রুম্পা সিংয়ের। সুইসাইড নোটে সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এমনকি এই কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বাবা-মা ও প্রেমিকের কাছে। তবে কপালজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। রুম্পাদেবী চিঠিতে লিখেছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন। জীবনে নতুন মানুষ এসেছিলেন। মা-বাবা, প্রেমিককে নিয়ে দিন কাটলেও ঋণের বোঝা মাথায় চেপে বসে। চাকরি যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই পাওনাদাররা তাঁকে বাড়িতে উত্যক্ত করতে থাকে। তাঁরা পাওনা ফেরতের দাবি করেন বলে অভিযোগ। যারা সহযোগিতা করার চেষ্টা করে তাঁদেরও অভিযুক্তরা হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। চাকরি হারানোর যন্ত্রণায় জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার এই ঘটনা বলে মনে করছেন মনোবিদরা।
মনবিদদের মতে,জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখতে বন্ধু- প্রতিবেশী সবার সহযোগিতা করা দরকার।কারণ দুঃসময়ে যাঁরা পাশে দাঁড়াবেন তাঁদের সাহায্যেই এই চাকরিহারা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাতে পারবেন বলে আশা তাঁদের।