৫ মাস ৯দিন পর শনিবার আরজিকর মামলার রায় ঘোষণা, তাকিয়ে দেশ
After 5 months and 9 days, the judgment of the RGkar case was announced on Saturday

Truth Of Bengal: ৯অগাস্ট আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে। নির্যাতন ও খুনের কিনারা করতে কলকাতা পুলিশ তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কলকাতা পুলিশ ২৪ঘন্টার মধ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস দেন,যে বা যাঁরা দোষী তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসের মাঝেই কলকাতা পুলিস তদন্তে যুদ্ধকালীন তত্পরতা দেখায়। ক্রাইম অব সিন বা ঘটনাস্থল থেকে বায়োলজিকালও ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করে।
পুলিশি তদন্তের তৎপরতার মাঝে চিকিৎসকের একাংশের আর্জি মেনে হাইকোর্ট ১৩ অগাস্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিবিআই তদন্ত চললেও আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ে। ১৪অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়। গত ৫ মাসে একের পর এক নজিরবিহীন নাগরিক প্রতিবাদ দেখেছে সারা দেশ। বাংলার দলমত নির্বিশেষে মানুষ পথে নেমে বিচার চায়। ন্যায় বিচার চেয়ে রাজপথে মিছিল,মিটিং,মানববন্ধন,মশাল মিছিলও দেখা যায়। বিক্ষোভের জেরে সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিক্ষোভের আঁচ লাগে।১৮অগাস্ট সুপ্রিমকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে। এরপর ১০সেপ্টেম্বর চিকিত্সকদের অবস্থান মঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। তবুও চিকিৎসকরা আন্দোলন জারি রাখায় জটিলতা বাড়ে।
অভিযোগ ওঠে,পরিষেবা বন্ধ রেখে চিকিত্সকরা আন্দোলন করায় বাড়ে রোগী মৃত্যু।তাতে বাড়ে ক্ষোভ।অচলাবস্থা কাটাতে প্রশাসনিক চেষ্টা জারি থাকে।এদিকে, তদন্তভার পাওয়ার পর সিবিআই চিকিত্সকের বাবা,কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার,ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ,নিহতের সহপাঠীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। মোট ৫০জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নিম্ন আদালতে। সিবিআই চার্জশিটে জানায় সঞ্জয় রায় এক ও একমাত্র দোষী। চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে ১১নভেম্বর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া।
আরজিকর কাণ্ডে চার্জশিটে সিবিআই জানায় সঞ্জয় রায় এক ও একমাত্র দোষী। ৯জানুয়ারি শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয় শিয়ালদা আদালতে। আদালতে সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদা মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে রায়দান। রায়দানের পর ঘোষণা হবে সাজা, ফাঁসি না যাবজ্জীবন, তাকিয়ে দেশ।
শিয়ালদা আদালতের রায়দানের জন্য আলাদা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এই রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।