রাজ্যের খবর

নাসার স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ছাত্রী

A student from Kakdwip got a call to NASA's space program

The Truth of Bengal,জাহিদ মিস্ত্রি: নাসার স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পেলেন কাকদ্বীপের ছাত্রী। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের রসায়নবিদ্যার স্নাতক ঋত্বিকা মাইতি আমেরিকায় গিয়ে তাঁর নিজস্ব ভাবনা তুলে ধরতে চান। গবেষণার জগতে নিজের ছাপ রাখতে চান ঋত্বিকা।সুন্দরবন থেকে সাগরপারে যাওয়ার এই জার্নির জন্য যে খরচ,সেটা কে দেবে তাই নিয়ে ভাবছেন ঋত্বিকার পরিবার। বাংলার মেধা বিশ্বের ভোলবদলে দিয়েছে। চিকিত্সা বিজ্ঞান থেকে স্থাপত্যবিদ্যা,মহাকাশ গবেষণা থেকে মানব উন্নয়নে দিশাদান,সবেতেই এই বঙ্গের কৃতীরা বিশ্বসভ্যতাকে আলোকিত করেছেন। এবার বিজ্ঞানের জ্ঞান-বৈভবে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে আমেরিকা পাড়ি দিতে চলেছেন কাকদ্বীপের এক ছাত্রী । সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের রসায়নবিদ্যায় স্নাতক ঋ্ত্বিকা মাইতি এখন নাসার মেধা-মাণে উত্তীর্ণ। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় নাসার গবেষণাগারে আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার এন্ড স্পেস প্রোগ্রামে যোগ দিতে চলেছেন কাকদ্বীপের সুভাষনগরের বাসিন্দা ঋত্বিকা মাইতি। বর্তমান তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রসায়নবিদ্যা নিয়ে স্নাতক করছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর আলোচনা সভাতেও ঋত্বিকা ডাক পেয়েছিলেন। সেখানে তাঁর মৌলিক ভাবনা তুলে ধরেছিলেন।এবার ডাক পেয়ে, মহাকাশ গবেষণা সম্পর্কে  নতুন ভাবনা মেলে ধরতে পারেন।

পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে মৌলিক ভাবনার কথা শুনবেন। ইতিমধ্যেই ঋত্বিকা মহাকাশ গবেষণার বিষয় নিয়ে তার মৌলিক ভাবনাকে তুলে ধরে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেই প্রবন্ধ মার্কিন সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছিল। প্রবন্ধটি পড়ে মার্কিন সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ঋত্বিকাকে মনোনীত করেছেন। এরপরই মার্কিন সংস্থা এক্সা এ্যারোস্পেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অনলাইনে ঋত্বিকার ইন্টারভিউ নেন। সেই ইন্টারভিউতেও ঋত্বিকা সাফল্য লাভ করেন। এরপরই তাঁকে মার্কিন মুলুকে নাসার গবেষণা কেন্দ্রের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। মার্কিন সংস্থার পক্ষ থেকে গত কয়েকদিন আগে সেই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে।কিন্তু বিপুল খরচ নিয়ে ঋত্বিকার পরিবার মহাচিন্তায় পড়েছে।

কিভাবে নাসার এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ঋত্বিকা, তা নিয়ে চিন্তিত মাইতি পরিবার। ঋত্বিকার বাবা বিশ্বজ্যোতি মাইতি বলেন, “এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে কমপক্ষে সাত লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে। আমি পেশায় একজন শিক্ষক। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এই খরচ বহন করা খুবই কষ্টসাধ্য। জানিনা কিভাবে ঋত্বিকার স্বপ্ন পূরণ হবে।

Related Articles