
The Truth of Bengal: ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধুরে গুগল ঘেঁটে কি খুঁজে চলেছেন? কোন এক পাহাড়ি অফবিট ডেস্টিনেশন? ভাবছেন এবার বোধ হয় উত্তরবঙ্গের সব অজানা গন্তব্য শেষ। একেবারেই তা নয়, ভুলভাবছেন আপনি। জানেন কি দার্জিলিং থেকে একটু দূরেই প্রকৃতির একদম কোলে রয়েছে এক ছোট্ট কটেজ। সেই কটেজে থেকে আপনি নিতে পারবেন প্রকৃতির স্বাদ। পাহাড়ের ঢালে ছোট্ট এক কটেজ। কাঠের এক ছোট্ট সাঁকো পেরিয়ে যেতে হবে সেখানে। চারিদিকে সবুজ জঙ্গল আর দূরের দিকে চোখ গেলে জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়। সেই কটেজের আশেপাশে রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি ঝর্ণা। যে ঝর্নার বয়ে যাওয়া মধুর শব্দে আপনার সকালের ঘুম ভাঙবে। এত কিছু বর্ণনা একদম মিথ্যে নয়, সত্যি স্বপ্নের এই অঞ্চল আর কোথাও না রয়েছে এই উত্তরবঙ্গেই। দার্জিলিং এর খুব কাছেই রয়েছে রানা গাঁও। আর সেই গাঁওয়ের সবুজে ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে প্রকৃতির শোভা একেবারে কাছ থেকে উপভোগ করার জন্য আছে এক কটেজ যার নাম নমসেওয়াল কটেজ অ্যান্ড হোমস্টে। দার্জিলিং থেকে ২৭ কিমি দূরেই রয়েছে এই অপূর্ব জায়গাটি।
লোয়ার লামাহাট্টার একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে রানা গাঁও। যে গ্রামের আনাচে কানাচে শুধুই প্রকৃতির অপরূপ শোভা দ্বারা নির্মিত। এই গরমে বঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই বহুদিন ধরে। যদিও সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে সেই বৃষ্টি কতদিন স্বস্তি দেবে রাজ্যবাসীকে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই একটু শীতল হাওয়ায় গা দোলাতে আর প্রকৃতিকে একদম চোখের সামনে থেকে উপলব্ধি করতে ঘুরে আসুন এই রানা গাঁও থেকে। যেতে গেলে আপনাকে ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই রানা গাঁওয়ে। যাওয়ার সময় পথে পড়বে রংলি রঙ্গলিওট চা বাগান।
যদি চা বাগানে গিয়ে চা পাতা তুলতে মন চাই আপনার তাহলে সেই ইচ্ছেও পূরণ করতে পারবেন এই রানা গাঁও যাওয়ার পথেই। রানা গাঁওয়ে পৌঁছে জঙ্গলের মধ্যে থাকা ওই কটেজে গিয়ে আপনি কটেজের ব্যালকনির ধারে বসে চা পান করতে করতে কাটিয়ে দিতে পারবেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় । কারণ ওই ব্যালকনি থেকে আপনি দূরের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাবেন শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার পুরো রেঞ্জটাই। এই ছোট্ট গাঁও একদম ছিমছাম, নিরিবিলি। এই রানা গাঁও থেকে আপনি ঘুরে নিতে পারবেন আরও অনেক ডেস্টিনেশন যেমন লামাহাট্টা ইকোপার্ক, তাকদা, তিনচুলে, রক গার্ডেন, লেবং। আর দেরি না করে নেক্সট সপ্তাহেই শনি রবিবার ছুটির দিন দেখে ঘুরে আসুন এই রানা গাঁও থেকে।