অদৃশ্য উপত্যকার হাতছানি, ডার – প্রাচ্যের ‘বারমুডা ট্র্যাঙ্গল’ লোঃ অরুণাচল প্রদেশ’
The 'Bermuda Triangle' of the East

The Truth of Bengal: উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশের নৈস্বর্গিক দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের অনাবিল আনন্দ দেয়। চারপাশের পার্বত্য অঞ্চলের মনোরম পরিবেশ এই অঞ্চলের শোভা বর্ধন করা হয়। কিন্তু এই অরুণাচলের প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যেই রয়েছে একটি রহস্যময় উপত্যকা। যার নাম শাংরি-লা উপত্যকা। ভৌগলিক দিক থেকে এটি অরুণাচল প্রদেশ এবং তিব্বতের মধ্যবর্তী সীমানায় অবস্থিত । কিন্তু, এই উপত্যকায় কেউ গেলেই নাকি অদৃশ্য হয়ে যায়। ঠিক যেন বারমুডা ট্র্যাঙ্গল। তাই একে প্রাচ্যের বারমুডা ট্র্যাঙ্গল বলা হয়। আর এই জাদুর টানেই লক্ষ লক্ষ পর্যটক প্রতি বছর এখানে আসেন।
বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তাকে অলৌকতার মোড়কে পুরে অনেকেই বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেন বটে, কিন্তু কিছু আশ্চর্য ঘটনা সত্যি সত্যিই যে এদেশে ঘটে থাকে তা হয়তো অনেকেই এক কথায় স্বীকার করে নেবেন। তারই জ্বলন্ত উদাহরণ এই শাংরি-লা উপত্যকা। শাংরি-লার এই অদ্ভূদ বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেক মত পার্থক্য আছে। কেই মনে করেন শাংরি-লা হল এশিয়ার কুনলুন পর্বতমালার একটি কাল্পনিক স্থান। ১৯৩৩ সালে ইংরেজ লেখক জেমস হিলটনের ‘লস্ট হরাইজন’ উপন্যাসে এই স্থানের নাম প্রথম শোনা যায়। হিলটন শাংরি-লাকে একটি রহস্যময়, সুরেলা উপত্যকা হিসেবে চিত্রিত করেছেন। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত, বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন একটি স্থান হল এই শাংরিলা।
হিলটনের বর্ণানা অনুযায়ী, শাংরি লা-তে বসবাসকারী লোকেরাও নাকি অমর অথবা স্বাভাবিক আয়ুষ্কালের বাইরে শত শত বছর বেঁচে থাকে। এবং এদের চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে অতি ধীর গতিতে। আবার ভারতীয় লেখক অরুণ শর্মার লেখা বই থেকে জানা যায় যে এটি বায়ুমণ্ডলের ফোর্থ ডায়মেনশন বা চতুর্থ মাত্রা দ্বারা প্রভাবিত যা সময়কে থামিয়ে দেয়। এই উপত্যকায় পৌঁছানোর পরে নাকি মন, আত্মা এবং চিন্তা শক্তি অতিরিক্ত মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। আসলে এই উপত্যকাটিকে বহিঃ বিশ্বের প্রবেশদ্বার বলে মনে করা হয়। যে কোনও বস্তু বা ব্যক্তি এই উপত্যকায় প্রবেশ করলে নাকি তাদের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে মুছে যায়।