অ্যাডভেঞ্চার ডেস্টিনেশনঃ বাঁকুড়ার সুতান ফরেস্ট, হাতের মুঠোয় প্রকৃতির সব রসদ …
Sutan forest of Bankura surrounded by magical environment of nature.

The Truth Of Bengal: ঘোরার জন্য নতুন ডেসটিনেশন খুঁজছেন। যেখানে শহরের কোলাহল, দূষণ মুক্ত প্রকৃতির কোলে আপনি দু দণ্ড বসে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে পারবেন। এই রকমই প্রকৃতির মায়াবী পরিবেশে ঘেরা বাঁকুড়ার সুতান ফরেস্ট। ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পিচ ঢালা রাস্তার মধ্যে দিয়ে যেতে গিয়ে প্রকৃতির নানা সৌন্দর্য দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
দু’ধারে সারি সারি গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এবং মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে পিচের রাস্তা। বাইক নিয়ে এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ঘুরে আসতে আপনার মন্দ লাগবেনা। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থেকে ঝিলিমিলি যাওয়ার পথে ঘন বনানী ঘেরা রাস্তার কিছুটা দূরেই ১২ মাইলের জঙ্গল অর্থাৎ সুতান ফরেস্ট। যেখানে গেলে আপনি প্রকৃতির সব রসদ পেয়ে যাবেন। বাঁকুড়া শহর থেকে ৭০ কিমি দূরে আছে এই ঘন জঙ্গল। কোলাহল হীন, দূষণ হীন , বিশুদ্ধ বাতাসে পরিপূর্ণ এই জঙ্গলে গেলে প্রকৃতির এক অমূল্য সৃষ্টি আপনাকে আকর্ষণ করবে।
প্রকৃতির এই মায়াবী জঙ্গলে পিচ ঢালা রাস্তার উপর দিয়ে যেতে যেতে আপনি শুনবেন নানা পাখির ডাক। প্রকৃতি এই স্থানটিকে শহুরে যান্ত্রিকতা থেকে এখনও আগলে রেখেছে। ঠিক পাহাড় নয় তবে পাহাড়ের ন্যায় দেখতে পাবেন উঁচু নিচু ঢিবি আর যদি ভাগ্য ভালো থাকে তাহলে ওই জঙ্গলের মধ্যেই দেখতে পাবেন ময়ূর পেখম তুলে এক পা দু পা করে জঙ্গলের মধ্যে হেঁটে বেড়াচ্ছে। নীল সবুজের মিশেল ময়ূরের পেখম তোলা নাচ ও দেখতে পাবেন। শুধু ময়ূর না মাঝে মধ্যে এই জঙ্গলের মধ্যে থেকে হরিণ ও বেরিয়ে আসে।
বাইক হোক বা চার চাকা যে মাধ্যমেই যান না কেন গাড়ি খুবই আসতে চালাবেন। এখানে একটি ওয়াচ টাওয়ার ও আছে যার উপর থেকে এই সবুজ ঘন জঙ্গলের বিস্তার দেখে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। এছাড়াও অনতিদূরে নজরে আসবে একটি লেক। যেখানে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য মাঝে মধ্যে নৌকাবিহার ও হয়ে থাকে। এত সুন্দর পৃথিবীর এই একটুকরো জঙ্গলে যাবেন কিভাবে ? কলকাতা থেকে ট্রেনে করে পৌঁছে যান বাঁকুড়া স্টেশন। সেখানে এসে গাড়ি ভাড়া করে বা বাইক নিয়ে আপনি পৌঁছে যাবেন সুতান জঙ্গলে।
Free Access