
The Truth of Bengal: ভাগ্য ভালো থাকলে সেভেন সিস্টারকেও দেখতে পাবেন এই চূড়া থেকে। ভাবছেন কোন জায়গার কথা বলছি! এটা হল সান্দাকফু। দার্জিলিঙয়ের সিঙ্গালীলা জাতীয় উদ্যানের ধারে পশ্চিমবঙ্গ নেপাল সীমান্তে সিঙ্গালীলা পর্বতের উঁচু বিন্দু সান্দাকফু। এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, লোৎসে, মাকালু এই চারটি উঁচু চূড়া দেখা যায় সান্দাকফু থেকে। যারা ট্রেক করতে ভালোবাসেন তাদের কাছে সান্দাকফু সেরা জায়গা। গাড়ি করেও যেতে পারবেন তবে পাহাড়ের বুকে হাঁটার মধ্যে প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধ যে পরিবেশ আপনাকে ধরা দেবে তা গাড়ি করে গেলে কখনই অনুভব করতে পারবেন না।
তাই সান্দাকফু গেলে ট্রেক করে যাওয়ায় ভালো। প্রথমে শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি করে আসতে হবে মানেভঞ্জন। এর পরের রাস্তা থেকেই আপনাকে ট্রেক করে উপরে উঠতে হবে। উপরে ওঠার সময় আপনি দেখতে পাবেন চারিদিকের সবুজ ঘেরা পাইন বন, অর্কিডের অরণ্য আর মাঝ দিয়ে বরফের চাদর বিছানো ট্রেকের রাস্তা। এই পথ দিয়ে ট্রেক করার সময় আপনার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করবে। পশ্চিমবঙ্গের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গের উদ্দেশ্যে যখন আপনি ট্রেক করবেন চারপাশের পরিবেশ দেখে আপনার মনে হবে আপনি হয়ত পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গতে এসে পড়েছেন।এখানে গেলে পাহাড়ের গায়ে দেখতে পাবেন নানা ধরনের ফুল বিশেষত রডোডেনড্রন।
দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন গোলাপি রঙের এই পাহাড়ি উপত্যকা। সেই ফুলের গন্ধের টানে আপনি সারা দিন চাইবেন কোন এক পাহাড়ের ঢালে বসে সময় কাটাতে। শুধু তাই নয় উঁচু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ওঠার সময় সঙ্গীর হাত ধরে উঠবেন। দেখবেন সেই খাড়াই পথে আর কোন কষ্ট নেই। গাড়ি করে যেতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে ল্যান্ডরোভার গাড়ি করে। মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার রাস্তাকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়। মানেভঞ্জন থেকে ট্রেক করে প্রথমে পৌঁছন মেঘমা, সেখান থেকে পরের ডেসটিনেশন গইরিবাস আর সেখান থেকেই সান্দাকফু। তবে আর দেরি না করে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে।