ভ্রমণ

কাকড়া আনন্দময়ী কালিমন্দির,মাকে মন ভরে ডাকলে নাকি সমস্ত কামনা পূরণ হয়

Kankra anandomoyi kalimondir

The Truth of Bengal: কথিত আছে নবাব আলিবর্দি খাঁর আমলে নির্মিত হয়েছিল এই মন্দির। এখানে রয়েছে ১২ টি শিবমন্দির ও একটি মায়ের মন্দির। মাকে মন ভরে ডাকলে নাকি সমস্ত কামনা পূরণ হয় তাই দেরি না করে ঘুরে আসুন কলকাতা থেকে একদম ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত এই মন্দির থেকে।দিঘা অথবা যে কোন সমুদ্র সৈকতে গেলেই আপনি কাঁকড়া খাওয়ার স্বাদ নিতে পারবেন কিন্তু কখন কি শুনেছেন কাঁকড়া দ্বাদশ কালি মন্দিরের কথা। শুনে অবাক হচ্ছেন? তবে সত্যি বসিরহাটে রয়েছে কাঁকড়া দ্বাদশ কালি মন্দির।

বসিরহাট থেকে  কচুয়া লোকনাথ মন্দিরের  দূরত্ব  ১২ থেকে ১৪ কিমি । সেখান থেকে কাঁকড়া আনন্দময়ী দ্বাদশ মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ১ কিমি। এই ক্ষেত্রে এক যাত্রায় দুই তীর্থয় দর্শন করার সুযোগ রয়েছে। কথিত আছে লোকনাথ বাবা সাক্ষাৎ এসে এই মন্দিরে মায়ের পুজো করতেন। এই মন্দিরে গেলে ভক্তদের সকল মনস্কামনা পূরণ হয় এই কথা প্রচলিত । বিপদে পড়লে কাঁকড়া আনন্দময়ী দ্বাদশ মন্দিরে গিয়ে মাকে মন দিয়ে ডাকলে মা সব বিপদ থেকে রক্ষা করে। ১২ টি শিব মন্দির  ও একটি কালি মায়ের মন্দির রয়েছে এখানে ।

এক সময় এই মন্দির ছিল প্রায় ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। পরবর্তী কালে পুনরায় মন্দিরের চত্বর নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাবে এই মন্দির স্তাপিত হয় নবাব আলিবর্দি খাঁর আমলে। সেই সময় গ্রামে গঞ্জে ডাকাতের বড় উপদ্রপ ছিল। ডাকাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই কালি মন্দির নির্মাণ করা হয়। ভাবছেন তো সপ্তাহান্তের ছুটিতে কিভাবে এই মন্দির দর্শন করবেন! এই মন্দির যেতে হলে আপনাকে পৌঁছতে হবে শিয়ালদা স্টেশন সেখান থেকে ট্রেনে করে চলে যাবেন বসিরহাট । সেখানে গিয়ে মন্দিরে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবারও নিজের গন্তব্যে ফিরে যান।

Related Articles