চোখের সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ, হোমস্টের সামনে ক্যাম্প ফায়ার
Kanchenjunga range in front of the eyes, campfire in front of the homestay

Truth of Bengal: দুয়োর গোরায় কড়া নাড়ছে শীত। এবারের শীতে ঘুরতে যাওয়ার নতুন ঠিকানার হদিশ দেওয়া হল। কোথায় যাবেন? কালিম্পঙের খুব কাছেই রয়েছে একেবারে অফবিট এক ডেসটিনেশন। যার নাম মাইরুং গাঁও। যে গ্রামের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে মনমুগ্ধকর দৃশ্য। হোমস্টের জানালা খুললেই দেখা যায় হিমালয়ার অপূর্ব রেঞ্জ। দূরদূরান্ত পর্যন্ত কেবল সবুজে ঢাকা পাহাড়।
সপ্তাহান্তের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে আসতেই পারেন পাহাড়ি এই গ্রাম থেকে। একেবারে অফবিট এই পাহাড়ি গ্রাম, নির্জন নিরিবিলি এই পাহাড়ি গ্রামের রুপের বাহার দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন, কালিম্পঙের খুব কাছেই রয়েছে এই রুপের ডালি নিয়ে বসে থাকা ছোট্ট গ্রাম, যার নাম যার নাম মাইরুং গাঁও। কালিম্পং এর মূল শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই গাঁও।
এই পাহাড়ি গ্রাম পুরোটাই ঘেরা রয়েছে নেওড়া ভ্যালি ন্যাশেনাল পার্ক দিয়ে। এই পাহাড়ি গ্রাম এক কথায় পাখিদের স্বর্গরাজ্য। যারা নানা রঙের অজানা পাখিদের ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাঁদের কাছে এই জায়গা হতে পারে সেরা। মাথার উপর খোলা নীল দিগন্ত। ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা রঙের মেঘ। সেই মেঘ সড়তেই দেখা যাবে হিমালয়ার রেঞ্জ। শহরে বাস ট্রেনের হর্নের কর্কশ আওয়াজে ঘুম ভাঙলেও, এই পাহাড়ি গ্রামে পাখিদের মধুর ডাক শুনে সকালে ঘুম ভাঙবে আপনার।
এই পাহাড়ি গ্রামের মধ্যে ছোট ছোট অনেক হোমস্টে রয়েছে। প্রতিটি হোমস্টের বাইরে রয়েছে ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও। এই গ্রাম অনেকটাই উঁচু, যে কারণে এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ দেখতে লাগে অসাধারণ। মাইরুং গাঁও যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে লাভা রিশপ। লাভায় দাঁড়িয়ে লাভা মনেস্ট্রিতে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তারপর রওনা দিতে পারেন মাইরুং গাঁওয়ের উদ্দেশ্যে।
শিলিগুড়ি থেকে এই মাইরুং গাঁওয়ের দূরত্ব ৯৬ কিলোমিটার। এখানে দেখতে পাওয়া যায় রডডেন্দ্রনের সমাহার। ভাবছেন এই প্রকৃতির সৌন্দর্যে ঘেরা পাহাড়ি গন্তব্যে যাবেন কিভাবে? ট্রেনে করে এনজেপি অথবা বিমানে করে আসলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় মাইরুং গাঁওয়ে। এছাড়াও কালিম্পং হয়েও যেতে পারেন এখানে।