
The Truth of Bengal: গড় জঙ্গলের কথা অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকেই শোনেন নি। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের কাছে রয়েছে গড় জঙ্গল। চারপাশ ঘিরে আছে জঙ্গলে। গড় জঙ্গলের আনাচে কানাচে জড়িয়ে রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক কাহিনী। হিন্দু পুরাণে গড় জঙ্গলের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীনে গড় জঙ্গলে স্থাপিত ছিল মেধাস মুনির আশ্রম। সেই আশ্রমের সাইন বোর্ডে লেখা আছে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
কথিত আছে বাংলায় দুর্গা পুজোর সূচনা হয় ১৬-১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে। রাজা সুরথ প্রথম দুর্গা পুজোর সূচনা করে। আর সেটা করেছিলেন এই গড় জঙ্গলে। রাজা লক্ষন সেনের আমলে এই জঙ্গলে মা দুর্গার একটি মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল। এই মন্দিরে মা দুর্গাকে সকলে চিনতেন শ্যামাদুর্গা নামে । তাই গড় জঙ্গলের সব চেয়ে আকর্ষণীয় মন্দির হল এই শ্যামারুপা মন্দির। তবে এখন আর নেই সেই প্রাচীন মন্দির। বর্তমানে এখানে এই প্রাচীন মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে।
আগে এই অঞ্চলে ১৬ টির মত মন্দির ছিল। এই অঞ্চলে ত্রি দেবীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন রাজা সুরথ। কিন্তু এখন এই এলাকায় রয়েছে মাত্র ২ টি মন্দির। এই শ্যামা রুপা মন্দির এবং আরেকটি হল শিব মন্দির। গড় জঙ্গলের প্রাচীন দুর্গা মন্দিরের পিছনেই রয়েছে আদি মেধা মুনির আশ্রম। তবে কেবল মন্দির নয় গড় জঙ্গলে রয়েছে অজয় নদী। সেই নদী পেরিয়ে লাল মাটির রাস্তার ওপর শাল গাছের সারি । জঙ্গলে মধ্যে শুনতে পাবেন বুলবুলি, ফিঙে ও টিয়া পাখির ডাক। চিন্তায় পড়ে গেলেন তো কিভাবে যাবেন? গড় জঙ্গলে যেতে হলে হাওড়া থেকে ট্রেনে করে চলে আসুন দুর্গাপুর স্টেশন । সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান রহস্যময় এই জঙ্গলে।