
The Truth of Bengal: বাংলায় এমন অনেক মন্দির আছে যা বহু প্রাচীন। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কেবল বীরভূম জেলাই নয় যেখানে হাজার হাজার বছরের পুরনো মন্দির রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও এমন অনেক মন্দির আছে যা বহু প্রাচীন। সেই রকমই এক মন্দির হল জলপাইগুড়ি জেলার জল্পেশ মন্দির। দেবাদিদেব মহাদেব এই মন্দিরে পূজিত হয়ে থাকেন। উত্তরবঙ্গের কোলে লুকিয়ে রয়েছে অজানা এমন অনেক মন্দির যা বহু বছরের পুরনো। সেই রকমই এক মন্দির হল জল্পেশ মন্দির। জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত এই মন্দিরে পূজিত হন দেবাদিদেব মহাদেব। কথিত আছে একবার কেউ এখানে আসলে এবং মন থেকে কিছু প্রার্থনা করলে সেই আশা অবশ্যই পূরণ হবে।
শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরের ভিড় উপচে পড়ে। কেবল জলপাইগুড়ি নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে বহু ভক্তরা এসে থাকেন। শিবরাত্রির দিন মন্দির চত্বরে উপচে পড়ে ভিড়। পুজোর সরঞ্জাম ও ঘটিতে দুধ নিয়ে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন শিব ভক্তরা। এই মন্দিরে শিবলিঙ্গ রয়েছে একটি গর্তের মধ্যে। চারপাশ দিয়ে স্টিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে শিবের মূর্তি। লোক মুখে প্রচলিত রাজা জল্পেশ এই মন্দির তৈরি করেছিলেন বলে এই মন্দির ও দেবতার নাম রাখা হয় জল্পেশ। কিন্তু এই তথ্যের কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাবে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণের বাবা বিশ্ব সিংহ ১৫২৪ সালে জল্পেশ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সাদা ধবধবে এই জল্পেশ মন্দিরকে কেন্দ্র করে পালিত হয় ৩ টি মেলা। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেলা হল শ্রাবণী মেলা। জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি থেকে ৮ কিমি দূরে রয়েছে এই মন্দির। এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে জরদা নদী। এই মন্দির দর্শন করতে গেলে ট্রেনে করে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে জল্পাইগুড়ি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন জল্পেশ মন্দিরে।