প্রযুক্তি
Trending

Elon Musk: ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট বায়ুমন্ডলের দূষণ বাড়াচ্ছে, দাবি গবেষকদের

Elon Musk: Elon Musk's Starlink internet is increasing atmospheric pollution

The Truth Of Bengal: মানুষের বেঁচে থাকা ওজন স্তরের উপর নির্ভর করে। সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি প্রকৃতির নিয়মে সাধারণত ফিল্টার হয়। পৃথিবীতে সূর্য রশ্মি যখন প্রবেশ করে তখন তা যদি ফিল্টার হয়ে না আসে তাহলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এই সূর্যরশ্মি সোজাসুজি এলে সেই সংস্পর্শে ত্বকে নানান ধরনের মারন জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। আশঙ্কা থেকে যায় ক্যান্সারের। ভয়াবহ এক আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন ইন্টারনেট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক পৃথিবীর ওজন স্তরকে ক্ষয় করতে পারে। ওজোন স্তরের যে প্রকৃতির নিয়ম তার উপর আঘাত হানতে পারে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে ইলন মাস্কের স্টারলিংক এর মত ইন্টারনেট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক পৃথিবীর ওজন স্তরকে ক্ষয় করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট। সম্প্রতি ইন্টারনেট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক এর ওপর গবেষণা চালান ইউনিভার্সিটি অফ সাউথসাউথদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা। তাদের সেই গবেষণার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স জার্নালে প্রকাশিত সেই গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে স্পেস এক্স এর স্টারলিঙ্ক বায়ুমন্ডলে প্রচুর পরিমাণে গ্যাসীয় অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা ওজন স্তরকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা যাচ্ছে ইন্টারনেট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক এর জন্য ওজন স্তরের যে ক্ষতি হচ্ছে তার ফলে এই ক্ষতিকারক সূর্য রশ্মি শুধু মানুষের শরীরে বিপদ ডেকে আনছে তা নয়, কৃষি ফসলের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার চলছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের মত ইন্টারনেট স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক গোটা পৃথিবীজুড়ে। এর প্রভাব কতটা কী পড়ছে তা গবেষণার জন্য প্রথম গবেষণা শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী গবেষক জোসেফ ওয়াং ও অন্যান্য সদস্যরা। তাঁর বিবৃতি অনুযায়ী, পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ইন্টারনেট স্যাটেলাইট গুলির আয়ু প্রায় পাঁচ বছর। এই মুহূর্তে লো-আর্থ কক্ষপথে থাকা ৮ হাজারের বেশি ব্রডব্যান্ড স্যাটেলাইটের মধ্যে প্রায় ৬ হাজার হল স্টার লিঙ্ক স্যাটেলাইট।

গবেষণায় উঠে এসেছে এইসব উপগ্রহগুলি কার্যকালের মেয়াদ শেষ করলে নিজে থেকেই বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর এই উপগ্রহ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় বায়ুমন্ডলে প্রায় ১০০০ টন অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ছড়াতে পারে। যা প্রকৃতির যে বায়ুমণ্ডল সেই মাত্রার চেয়ে ৬৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডগুলি ক্লোরিনের সাথে ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় উঠে এসেছে ২৫০ কেজি স্যাটেলাইটের ধ্বংস ৩০ কেজি অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করতে পারে। যা দীর্ঘ বছর ধরে বায়ুমণ্ডলের মধ্যে মিশে থাকে। ওই গবেষণায় আরও উঠে এসেছে ২০১৬ এবং ২০২২ সালের মধ্যে বায়ুমন্ডলে আনুমানিক আট গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে দূষণ। বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি আগামী বছরগুলিতে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অনুমতি পেয়েছে অ্যামাজন এবং অন্যান্য টেক জায়ান্টরাও। ফলে বায়ুমণ্ডলের দূষণ যে আরও বাড়বে তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Related Articles