
The Truth of Bengal: হাজার কাজের ব্যস্ততা মধ্যে, সময় বের করেছিলেন তিনি। পৌঁছে গিয়েছিলেন আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। মনে হয়তো খানিক আশা ছিল, এবার রোহিতদের জয়চ্ছ্বাসের সামিল হতে পারবেন তিনি। কিন্তু নাহ! তা আর হল না। তিনি এলেন, তিনি দেখলেন, কিন্তু তাঁর সামনে বিশ্বজয় করা হল না রোহিতদের। নিজের নামের স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে ভারতের বদলে অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। অবশ্য ততক্ষণে পুরো স্টেডিয়াম ফাঁকা। নেই গ্যালারি ভর্তি লোক। নিল সমুদ্রের ভিড় তখন ফাঁকা।
ভারতের হার প্রায় নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছিল স্টেডিয়াম। বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ভারতীয় সমর্থকেরা। যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেকে পুরস্কার অনুষ্ঠান পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি। গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বহু খেলায় সাফল্য দেখেছেন তিনি। কিন্তু ক্রিকেট, তাতে তো সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারল না ভারত। ইন্দিরা গান্ধী, মনোমোহন সিংরা যে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন, সেই স্বাদ এবারেও অধরা রয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ হাতে কপিল দেবের সঙ্গে ছবি রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর, মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে একফ্রেমে দেখা গিয়েছে মনমোহন সিংকেও।পাশের ফ্রেমে হয়তো রোহিত শর্মা এবং নরেন্দ্র মোদির ছবি রবিবারই বসিয়ে দেওয়া যেত, কিন্তু তা অধরা রয়ে গেলো এই বছর। আবার অপেক্ষা ৪ বছরের। অবশ্য, ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের জন্য শুধু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিই যথেষ্ট নয়। দলের খেলোয়াড়দের ভালো খেলাও জরুরি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি দলের খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করতে পারে। তাই, রোহিতদের বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির আশাও ভেঙে গেল।