সফর শেষে ‘ভারত’কে নিয়ে আবেগঘন বার্তা মেসির, প্রশংসায় ‘গোট ট্যুর’
পূর্ব নির্ধারিত সূচি বদলে হঠাৎ করেই বনতারায় সফর করেন মেসি এবং সেখান থেকেই স্পেনের বার্সেলোনার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
Truth Of Bengal: ১৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া লিওনেল মেসির ভারত সফর শেষ হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর।কলকাতা দিয়ে শুরু হয়ে হায়দ্রাবাদ, মুম্বই ও দিল্লি ঘুরে সফরের শেষ পর্বে গুজরাটের জামনগরের বনতারায় যান আর্জেন্টিনার মহাতারকা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি বদলে হঠাৎ করেই বনতারায় সফর করেন মেসি এবং সেখান থেকেই স্পেনের বার্সেলোনার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
ভারত সফর শেষে ‘গোট ট্যুর’ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি আবেগঘন ভিডিয়ো ও বার্তা শেয়ার করেছেন মেসি। সেখানে তিনি পুরো সফরের প্রশংসা করেন এবং ভারতের আতিথেয়তা ও ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ জানান। মেসি লেখেন, নমস্কার ভারত। দিল্লি, মুম্বই, হায়দ্রাবাদ ও কলকাতায় দারুণ সময় কাটল। অসাধারণ অভ্যর্থনা, আতিথেয়তা এবং যে ভালোবাসা পেয়েছি তার জন্য ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি, ভারতে ফুটবলের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।
মেসির শেয়ার করা ভিডিয়োতে প্রথমেই রয়েছে কলকাতার লেকটাউনে তাঁর ৭০ ফুটের মূর্তি উন্মোচনের দৃশ্য। এরপর একে একে হায়দ্রাবাদ, মুম্বই ও দিল্লির বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিয়োতে রয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, করিনা কাপুর ও সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি, মুম্বইয়ে পেনাল্টি শ্যুটআউট, খুদে ভক্তদের সঙ্গে সময় কাটানো ও দর্শকদের বল উপহার দেওয়ার নানা মুহূর্ত। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে শোনা যায় দিল্লিতে দেওয়া মেসির বক্তব্যের স্প্যানিশ অডিও, যার অর্থ, সফরটা ছোট হলেও খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। আমি খুব উপভোগ করেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। আবার ভারতে ফিরতে চাই।তবে এই ভিডিয়োয় গোট ট্যুরের অফিসিয়াল অ্যান্থেম ব্যবহার করেছেন তিনি ভিডিয়োর অডিও হিসেবে। এই গানটি গেয়েছেন বাংলার অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে কলকাতায় মেসির অভিজ্ঞতা সুখকর না হলেও বাঙালির গাওয়া গান ব্যবহার করে তিনি ভারতকে ধন্যবাদ জানালেন।
তবে মেসির এই ভিডিয়ো ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবেই মেসি তাঁর ভিডিয়ো থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের কোনও অংশ রাখেননি। যদিও সফরের শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকেই, তবু যুবভারতীর কোনও দৃশ্য ভিডিয়োতে জায়গা পায়নি। উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় মেসির সফর শুরু হয়েছিল ডামাডোলের মধ্য দিয়ে। অব্যবস্থাপনার জেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। পরে যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই কি যুবভারতীকে এড়িয়ে যাওয়া—এই প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনে।





