
The Truth of Bengal: নির্বাচনে অনৈতিক লেনদেন রুখতে ও স্বচ্ছতা বজায় রাখায় জন্য ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত আইন তৈরি করেছিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। তবে দেশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র রাজনীতিক যিনি সরকারি তহবিলে নির্বাচন চেয়ে আসছেন বহুদিন ধরে। নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং হলে আর্থিক ভাবে দুর্বল দলগুলিও ভোটে লড়ার সমান সুযোগ পাবে। মমতার দাবি বাস্তব হলে আজ ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে এত অভিযোগ উঠতো না। লোকসভা নির্বাচনের মুখে গোটা দেশে এখন চর্চার বিষয় ইলেক্টোরাল বন্ড। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ইলেক্টোরাল বন্ড সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে নামে-বেনামে বিভিন্ন কোম্পানি অকাতরে টাকা দিয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।
সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি। যে পদ্ধতিতে এই ইলেক্টোরাল বন্ড চালু ছিল, তাতে দাতা এবং গ্রহীতার মধে হওয়া অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধাপ্রদানের অভিযোগ উঠছিল। সেই ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আজ ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে হইচই হচ্ছে। কিন্তু, তেমনটা হতো না যদি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মানা হতো। বিশ্বের অনেক দেশে নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা চালু আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরে এই ব্যবস্থা চালুর কথা বলে আসছেন। স্টেট ফান্ডিং হলে অস্বচ্ছতার কোনও অভিযোগ উঠবে না। এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠবে না। এখন যে অভিযোগ উঠছে বিজেপির বিরুদ্ধে।
বন্ড সম্পর্কিত তথ্য সাম্মনে আসতেই দেখা যাচ্ছে, ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরের তদন্তের আওতায় থাকা দেশের ৪১টি কোম্পানি বিজেপিকে ২৪৭১ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মানলে এই অনৈতিক ভাবে প্রভাব খাটিয়ে টাক আয় করার দরকার হতো না। তাই নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং-এর পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যদি ভোটে স্টেট ফান্ডিং সম্ভব হয় তবে এদেশে নয় কেন? তা হলে মানুষের থেকে ভোটের জন্য টাকা নিতে হবে না।’ইলেক্টোরাল বন্ড সংক্রান্ত আইন তৈরি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। দেশের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র রাজনীতিক যিনি সরকারি তহবিলে নির্বাচন চেয়ে এসেছেন। বহুদিন ধরে এই আবেদন করে আসছেন। নির্বাচনে স্টেট ফান্ডিং হলে আর্থিক ভাবে দুর্বল দলগুলিও ভোটে লড়ার সমান সুযোগ পাবে। স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে যে বিজেপি সরকার ইলেক্টোরাল বন্ড এসেছিল, এখন তাদের বিরুদ্ধে সবচেস্যে বেশি অভিযোগ উঠছে।