
The Truth of Bengal: ভোটের মুখে দলের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব থামাতে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় বিষয়ে বিরোধ প্রকাশ্যে আনলে শাস্তির হুঁশিয়ারির পাশাপাশি নবীন আর প্রবীণের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করলেন তিনি। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক মমতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দলের শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়েও এদিন কঠোর মনোভাব পোষণ করেন। অনেকেই সাংবাদিকদের সামনে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। এই প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের সর্বস্তরে ঐক্য ও কঠোর শৃঙ্খলারক্ষার জন্য দলীয় মুখপাত্রদের টিমে রদবদল, সোশ্যাল মিডিয়ায় আলটপকা কমেন্ট বন্ধ করা-সহ একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
তিনি বলেন, “তৃণমূলে গণতন্ত্র আছে। কারও কিছু বলার থাকলে তা দলের মধ্যে বলতে হবে।” দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর এমন বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অভিষেকও এ দিনের বৈঠকে নবীন-তত্ত্বে নিজের অনড় অবস্থানের কথা প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি বলেন, “সকলকে ঐক্যবদ্ধতাকে ও ছোটদেরকে নিয়ে চলতে হবে।” শাসক দলে সংগঠনের নেতৃত্ব বা নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের উঠে আসার দাবি ইদানিং নানা স্তরে সংঘাত তৈরি করেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রকাশ্যে এই দাবির পক্ষে মত দিয়ে মুখ খুলেছেন অভিষেক। তাতে ভোটের আগে দলে যে ছন্দপতনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে এ দিনের বৈঠকে এ নিয়ে খোলাখুলিই নিজের মত জানিয়েছেন মমতা।
দু’পক্ষকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়ে বৈঠকে মমতা বলেন, “পুরনো নেতা-কর্মীদের সম্মান দিতে হবে। কারণ, তাঁরা রক্ত ঝরিয়ে এই দল করেছেন।” আবার নবীনের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়েও তিনি বলেন, “পুরনোরা থাকবেন মানেই তাঁদের মৌরসি পাট্টা চলবে, তা নয়। নতুনরাও মর্যাদার সঙ্গে থাকবেন। এবং তাঁরাই আগামী ৩০ বছর দল চালাবেন।” তবে এ নিয়ে যাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন, তাঁদের সতর্ক করে মুখপাত্র বদলের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, ভোটের মুখে নীচের তলায় দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজ যে সন্তোষজনক নয়, তা এ দিনের বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। ভোটে বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং উন্নয়নের বিষয়গুলিকে সামনে রেখে লড়াইয়ে সাংগঠনিক তৎপরতায় জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। লড়াইয়ের পাশাপাশি সংলাপের প্রয়োজনীয়তাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
Free Access