
The Truth of Bengal: রাজ্যে গত কয়েকদিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গত কয়েক দিনের কিছু মানুষের মৃত্যু হওয়ার পরেই, রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলতে ময়দানে নামে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গেই সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরলেন। তিনি জানালেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, টাকার দিকে না তাকিয়ে সবার আগে ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে হবে। এদিকে, বিধানসভায় বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন বাড়ছে? এবং আলোচনার দাবি জানানো হয়। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়। এর পরেই বিরোধীরা ওয়াকআউট করে। এদিন ডেঙ্গি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়ে জানান, যদি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোম, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার করে, তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
ডেঙ্গি ইস্যু ছাড়াও মণিপুর ইস্যুতে তুলকালাম হয় বিধানসভা। শুরু থেকেই বিধানসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনায় আপত্তি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, বিষয়টি যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তাই এখানে আলোচনা করা যাবে না। পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন। এরপরেই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাদ্যায় বলেন, আপনি স্পিকারের চেয়ারকে হুমকি দেতি পারেন না। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধীদলনেতার উদ্দেশে কার্যত ধমকের সুরে বলেন, ডোন্ট টক রাবিশ। তিনি এদিন বিধানসভায় বলেন, ইঁদুর কাটলেও, রাজ্য কেন্দ্রীয় দল আসে, বাংলা এগোচ্ছে, তাই আপনাদের গাত্রদাহ। পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে বিরোধীরা যে ছবি দেখাচ্ছে, তা ফেক।