
The Truth of Bengal: ফ্লাট প্রতারণা মামলায় 12ই সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরাত জাহান কে তলব করল ইডি, সঙ্গে সংস্থা ডিরেক্টর রাকেশ সিং কেউ তলব করা হয়েছে, সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স ইডি দপ্তরে । সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড এর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর । অভিযোগ এই সংস্থা বিভিন্ন প্রবীণ নাগরিকদের থেকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছে । প্রায় ২৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে প্রায় ১০০ থেকে ১০৪ জনের কাছ থেকে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে , সেই টাকা কিন্তু কোন ভাবেই ফেরত দেয়া হয়নি ।
এমনকি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা একাধিক তথ্য প্রমাণ নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টারের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন । সেই অভিযোগ এর ভিত্তিতেই এক সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরাত জাহান যিনি এই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । মূলত তদন্তের বিষয় হয়ে উঠবে কত টাকা তোলা হয়েছিল এবং সেই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত নুসরাত জাহান ডিরেক্টর ছিলেন এই কোম্পানির। সেই কোম্পানির তখন ভূমিকা কি ছিল সংস্থার বোর্ড অফ মিটিংয়ে তিনি থাকতেন কিনা এবং পাশাপাশি যে সমস্ত সিদ্ধান্ত হতো তাতে তার কোন হাত ছিল কিনা এবং তার সঙ্গে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা এবং আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই আর্থিক লেনদেন কিসের ভিত্তিতে হয়েছিল।
নুসরাত জাহানের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ করা হয়েছিল এই সংস্থা থেকে তিনি একটা বিপুল পরিমাণ অংকের টাকা লোন নিয়েছিলেন সেই লোন তিনি কেন নিয়েছিলেন এবং কিসের জন্য এই কোম্পানি তাকে লোন দিল সেই লোন কি আমানত কারীদের টাকা থেকে দেয়া হয়েছে এবং এর আগে নুসরাত জাহান সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেন এই লোনের টাকা তিনি ফেরত দিয়ে দিয়েছেন এই লোনের টাকা কেন এত বছর পরে তিনি ফেরত দিলেন এইসব বিষয়ই তদন্ত করতে ১২ ই সেপ্টেম্বর ইমপোর্টমেন্ট ডিরেক্টরের তরফে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাথে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাকে।