
The Truth of Bengal: মহামতি গোখলে বলেছিলেন, বাংলা আজ যা ভাবে ভারত কাল তা ভাবে। তার থেকেও এগিয়ে বলা যায়,ভারত যে পথে ভাবে বাংলা তার বিকল্পের পথ দেখাতে পারে।একথা স্বাধীনতার সময় থেকেই বারবার প্রমাণ হয়েছে।কখনও মেধা সম্পদ,কখনও প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলা সৃষ্টির স্বতন্ত্রধারা তৈরি করেছে। বাংলাই দেশের মধ্যে সেরা। বৃহস্পতিবার ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাংলাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল বিন্ধ্যগিরির উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও মেধা সম্পদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আমার দ্বিতীয় সফর। কলকাতার প্রাণবন্ত শহর, এর সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং সংস্কৃতির সাথে আমাদের জাতির হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। বৌদ্ধিক প্রাণবন্ততা, শৈল্পিক স্পৃহা এবং বিশ্বচেতনা দেশের মধ্যে সেরা।”এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’-কে জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। তারপর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন।
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে আগাগোড়া রাষ্ট্রপতির পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সহ বিশিষ্টরা। রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং আমরা অদূর ভবিষ্যতে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছি। একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি মানে বাণিজ্যের উচ্চ পরিমাণ। আমাদের বাণিজ্য-পণ্যের একটি বিশাল অংশ সমুদ্রপথে পরিবহণ করে। এই সত্যটি আমাদের বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য মহাসাগরের গুরুত্বকে তুলে ধরে