রাজনীতি

টুইট করে কটাক্ষ দেবের, একটু তোমার নেতাদের বোঝাও, বাংলাটা শেখাও সৌজন্য কাকে বলে

Dev taunted by tweeting

The Truth of Bengal: মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে তৃণমূল প্রার্থী এবং অভিনেতা দেবকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান প্রতিক্রিয়ায় মন জয়ের চেষ্টা অভিনেতার। যিনি স্লোগান দিলেন, এগিয়ে এসে তাঁকেই জড়িয়ে ধরলেন দেব। লোকসভা ভোটের জন্য এই মুহূর্তে প্রচারের-নির্ঘণ্ট ঠাসা তৃণমূলের এই অভিনেতার প্রার্থীর। শুধু নিজের কেন্দ্র ঘাটালে নয়, দলের অন্য প্রার্থীদের জন্যও প্রচার করতে হচ্ছে। সেই সূত্রেই এদিন রায়গঞ্জ আসছেন। কিন্তু বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। পরে সাংবাদিকদের বলেন, “উনি বিজেপি কর্মী নন, উনি ভারতীয়। আমরাই দেশটাকে হিন্দু-মুসলিম, তৃণমূল-বিজেপি, গরীব-বড়লোকে ভাগ করে রেখেছি। বড় বড় নেতারা ভাগ করেছেন।”

এখানেই যে শেষ নয়, মঙ্গলবার রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে বিজেপির মিডিয়া সেলের অমিত মালব্য দেবের ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও টুইট করে লেখেন, “বাংলায় এবারে তৃণমূলের পরাজয় আরও স্পষ্ট, কারণ তাঁদের ঘাটালের প্রার্থী-অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী বালুরঘাটের মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লোকসভায় জয়ের জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।” এখানেই না থেমে অমিত টুইটে আরও লেখেন, “বাংলা তৃণমূলকে হারানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। কারণ, ডুবে যাওয়া জাহাজের মতো তাঁকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাঁর ভোটার ও দলের নেতারা।

” অমিতের ওই টুইটের পাল্টা জবাব দিয়ে ঘাটালের প্রার্থী রি-টুইট করে বলেন, “সুকান্তদা, একটু তোমার নেতাদের বোঝাও, বাংলাটা শেখাও সৌজন্য কাকে বলে  ????.! আসলে ওনার কোনও দোষ নাই , উনি বাংলা ভাষাটা বোঝে না,  হিন্দিতে বললে হয়ত বুঝত!” একই সঙ্গে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য সুকান্ত এবং তাঁর দলের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেব। “আমার অনেকগুলো বন্ধুবান্ধব আছে, যাঁরা বিজেপিতেও আছেন, তাঁদের মধ্যে একটা অন্যতম নাম হচ্ছে সুকান্তদা। আমার অত্যন্ত প্রিয় মানুষ, সুকান্তদাকে শুভেচ্ছা, কারণ রাজনীতির ময়দানে যেই জিতুক না কেন, আমার মনে হয়েছে মানুুষ যাকে বিশ্বাস করবে, যাকে ভালবাসবে তাঁরই যেন জয় হয়। এই মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদারকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।”

Related Articles