‘ওই ব্যক্তির যাবতীয় দায় আমার’— শংসাপত্রে লেখা বিজেপি সাংসদ দায় এড়াতে পারেন কি?
MP Issue Passes

The Truth of Bengal: সাংসদের ইস্যু করা পাস নিয়ে যে কেউ ঢুকতে পারেন সংসদে। গ্যালারিতে বসে দেখতে পারেন অধিবেশনের কাজ। এটাই নিয়ম। এখন প্রশ্ন, সাংসদের ইস্যু করা পাস নিয়ে কেউ সংসদে ঢুকে কোনও অপকর্ম করলে তাঁর দায় কি বর্তায় সেই সাংসদের? কী বলছে সংসদের নিয়ম? লোকসভায় নিয়ম অনুযাঈ, দর্শক গ্যালারিতে ঢোকার ছাড়পত্র অর্থাৎ কার্ড ইস্যু করতে পারেন শুধুমাত্র সাংসদ। সংসদের নিয়ম বলছে, সংসদ যাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন তাকেই তিনি পাস ইস্যু করতে পারেন। কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে দর্শক গ্যালারির পাস ইস্যু করা যায় না।
পাস পাওয়ার জন্য আবেদনপত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজের যাবতীয় তথ্য দিতে হয়। সঙ্গে দিতে হয় সাংসদের কাছ থেকে পাওয়া শংসাপত্র। সেই শংসাপত্রে সাংসদকে লিখতে হয়, ‘দর্শক হিসাবে ঢুকতে চাওয়া উপরোক্ত ব্যক্তিকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। ওই ব্যক্তির যাবতীয় দায় আমার।’ অতিথি পাস ইস্যু করতে এমন শংসাপত্র দিতে হয় সাংসদকে। ‘ব্যক্তির যাবতীয় দায় আমার”। এমন কথা যখন লিখতে হয় সাংসদকে, তখন স্বাভাবিক ভাবেই সংসদ হানার দায় কেন নেবেন না মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা? এই প্রশ্ন তুলে বিরোধীরা চেপে ধরছে সরকারকে।
বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে সংসদের নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। সাংসদ হিসেবে মহুয়া মৈত্রের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড অন্য হাতে গিয়েছিল। যা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন ওঠে। তা হলে মাইসুরুর বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার বিরুদ্ধে কেন একই অভিযোগ উঠবে না? ‘ওই ব্যক্তির যাবতীয় দায় আমার’— এমন লেখা শংসাপত্র দিয়েছেন যিনি, তিনি সেই দায় অস্বীকার করতে পারেন কি? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা।