রাজনীতি
Trending

মেরুকরণের অস্ত্র ভোঁতা হতেই কি এবার হাতিয়ার সিএএ? প্রশ্নের মুখে বিজেপি…

Is the CAA a tool of polarization?

The Truth Of Bengal: মেরুকরণের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যাওয়ায় বিজেপি সিএএকেই হাতিয়ার করছে।লোকসভার আগে ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ভোটযুদ্ধে নামতে তত্পর গেরুয়া শিবির।অসমের এনআরসিতে মুখ পুড়ে যাওয়ায় বিজেপির নবকৌশল বলে বিরোধীরা মনে করছে।যদিও ইন্ডিয়া জোটের দাবি,উদ্বাস্তুদের ভুল বোঝানোর তত্ব আগামীতে মুখ থুবড়ে পড়বে।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির সিএএ-এর বদলে মতুয়াদের কার্ড প্রদান বিজেপিকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে।অমিত শাহের সভার আগে বঙ্গ বিজেপিতে শোরগোল।মতুয়াসমাজের মতোই বিধায়করাও শৃঙ্খলার ধার না ধেরে কেন্দ্রকেই তুলোধনা করতে মুখর হচ্ছেন।

অসমে চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-তে বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। নাগরিক সমাজের একাংশের  দাবি, এর মধ্যে বাঙালি হিন্দুর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ লক্ষ। বাঙালি মুসলিম বাদ পড়েন দেড় থেকে দু’লক্ষ।ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি।বিরোধীরা বলছে তাতে হিতে বিপরীত হয়।সংখ্যালঘুদের বাদ দেওয়ার বদলে হিন্দুরা বাদ পড়ায় গেরুয়ার শরনার্থীদের নিয়ে রাজনীতি ধাক্কা খায়।কারণ যাঁরা বাদ পড়েন, তাঁদের অর্ধেকের বেশি হিন্দু, গোর্খা এবং স্থানীয় আদিবাসী সমাজের লোক। এঁদের নাম এনআরসি থেকে বাদ পড়ার ফলে আগামী দিনে দলের হিন্দু ভোট-ব্যাঙ্ক ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন অসমের বিজেপি নেতারা।তাই আর এনআরসির চক্করে মাথা না গলিয়ে নতুন চমকে নতুন প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি।বলা হয় সিএএ বা সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট প্রয়োগ করে হিন্দু শরনার্থীদের অধিকার দেওয়া হবে।সেই আশ্বাসকে সামনে রেখে ২০১৯-এর ডিসেম্বরে সংসদে সিএএ পাশ হয়েছিল।

সিএএ-র প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ও অশান্তিতে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়। দিল্লি,সহ বেশ কিছু রাজ্যে হিংসা ছড়ায়। বিরোধী শিবির মনে করছে, লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর করার চেষ্টা হলে ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তা থেকে বিজেপিই ফায়দা তুলতে চাইছে।এরমধ্যে বাংলা নিয়ে সবথেকে বেশি বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে।কারণ মতুয়ারা বলছেন,তাঁরা এমনিতেই নাগরিক,আবার নতুন করে নাগরিকত্ব নেওয়ার কী আছে ? তবুও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র আশ্বাস দেন,মতুয়াদের দেওয়া হবে বিশেষ কার্ড যে কার্ড দেখিয়ে সারা দেশে তাঁরা পরিষেবা পাবে।

এই কার্ড যে কোনওভাবেই নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রের সমতুল্য নয় তাও স্পষ্ট করে দেন বিধায়ক অসীম সরকার।তাঁর তোপ,ধর্মীয় সংস্থার কার্ড অন্যরাজ্যে কেন কাজ হবে।উদ্বাস্তু-মতুয়াসমাজ যদি হয়রানির মুখে পড়ে তাহলে তার দায় কে নেবে ? বিজেপিতে সিএএ নিয়ে দুটো মেরুতে ভাগ দেখা যাচ্ছে।তাঁদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্য প্রকাশ্যে আসায় বিজেপির নীতি পঙ্গুত্ব স্পষ্ট বলছে মতুয়াদের একাংশ কটাক্ষ করছেন।

তাই চব্বিশে এই নাগরিক পঞ্জিকে হাতিয়ার করে বিজেপি ভোটে জেতার চেষ্টা করলেও তা উদ্বাস্তু মহলে কতটা সাড়া ফেলবে তা নিয়ে সংশয় আছে।কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন,অসমে যেভাবে এনআরসি নিয়ে বিজেপি ল্যাজেগোবরে হয়ে যায় সেভাবেই বাংলা সহ প্রতিবেশী রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের পর্দা ফাঁস হবে না তো ?

Free Access

Related Articles