কলকাতারাজনীতি

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধবাবু! কড়া পর্যবেক্ষণে থাকবেন এক মাস

Buddhadeb Bhattacharya

The Truth of Bengal:  সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ভর্তি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালে আসেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। দুপুর ১২টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের করে বাইরে রাখা অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা হয় তাঁকে। ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তাঁর বাড়ি পৌঁছয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। ছেড়ে দেওয়ার আগে বুধবার সকালে হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, এখন অনেকটাই সুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে পারবেন শুনে দারুণ আনন্দ পান বুদ্ধবাবু। তাঁর মুখে হাসি দেখা যায়। বাড়ি ফেরার আগে চিকিৎসকদের আশীর্বাদ করেন তিনি। বুদ্ধবাবুর জন্য তৈরি চিকিৎসকদের মেডিক্যাল বোর্ড জানায়, পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরলেও আগামী একমাস তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। থাকতে হবে হোম কেয়ারে। ২৪ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে থাকবেন হাসপাতালেরই দুই নার্স। বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে তা দেখার জন্য প্রতিদিনই হাসপাতালের তরফে একজন চিকিৎসক যাবেন তাঁর বাড়িতে।

বাড়িতে যাতে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্য পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। মঙ্গলবার বুদ্ধবাবুর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে ঘুরে যায় চিকিৎসকদের একটি দল। খতিয়ে দেখেন সব কিছু। বুদ্ধবাবুকে বড়ি নিয়ে যেতে সকালেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি জানান, বাড়িতে কড়া নজরদারিতে রাখা হবে বুদ্ধবাবুকে। যে ভাবে সবাই বুদ্ধবাবুর খোঁজ নিয়েছেন এবং পাশে থেকেছেন, তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান মীরাদেবী। অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে দেখতে রোজই হাসপাতালে আসেন সিপিএম নেতারা। শুধু দলের নেতারা নন, বুদ্ধবাবুকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভর্তির দু’দিন পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাঁকে দেখতে হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি। কথা বলেছিলেন চিকিৎসকদের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। পরে সংক্রমণের মাত্রা কমায় তাঁকে ধীরে ধীরে সেখান থেকে বের করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষার পর তাঁর কিছু ওষুধের পরিবর্তন করা হয়। চিকিৎসায় সাড়া দিতেই ৩১ জুলাই তাঁকে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। পরে তিনি ছিলেন নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে। এরপর অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপির বদলও হয়। সংক্রমণ কমলে কয়েকদিন আগে অ্যান্টিবায়োটিক বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। বুদ্ধবাবুকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার জন্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাইছিলেন না চিকিৎসকরা। অবশেষে ১২ দিন পর বুধবার তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়।

Related Articles