দেশের নাম পরিবর্তন করতে পারে কেন্দ্র? তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা, রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে
INDIA Name Change Controversy

The Truth of Bengal: এবছর জি২০ বৈঠকের আয়োজক দেশ হল ভারত। গত কয়েক মাস ধরে, বিভিন্ন রাজ্যে অংশগত বৈঠক হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ বৈঠক হবে দিল্লিতে। এই শীর্ষ সম্মেলনকে ঘিরে সব রাজনৈতিক দলকে এক নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেখা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্র ইংরাজি ভাষায় লেখা। এবং সেখানে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা রয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। যা স্বাধীনভারতে নজিরবিহীন। এর পরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই কেন্দ্র তথা বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি কংগ্রেসের বর্ষীয়ান কংগ্রেসনেতা জয়রাম রমেশ। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম পরিবর্তন ইস্যুতে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আজকে তো ইন্ডিয়ার নাম চেঞ্জ করে দিচ্ছে বলে আমি শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি-২০-র লাঞ্চে না ডিনারে, তাতে লেখা আছে ভারত বলে। আরে ভারত তো আমরা বলি। এতে নতুনত্ব কী আছে?’’ রাষ্ট্রপতির এই আমন্ত্রণপত্র দেখার পরেই রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে, দেশের নাম পরিবর্তনের জন্যই কি বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র?
এই অধিবেশনেই কি দেশের নাম পরিবর্তনের বিল আসতে চলেছে? আর এই জল্পনার মধ্যে হাওয়া দিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিং যাদব। হিমন্ত এক্সবার্তায় জানিয়েছেন, “রিপাবলিক অব ভারত – আমি খুশি এবং গর্বিত যে আমাদের সভ্যতা সাহসের সঙ্গে অমৃতকালের দিকে এগিয়ে চলেছে।” অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিং যাদব একটি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ভারতের সংবিধান প্রণেতারা সংবিধানে দুটি শব্দ রেখে ‘ভুল’ করেছেন। তিনি বলেন, অক্সফোর্ড অভিধানে ‘ইন্ডিয়া’কে গরিব ও অশিক্ষিত মানুষের দেশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ব্রিটিশরা তাদের রাজতন্ত্রের অধীনে থাকা দেশগুলিকে ‘ইন্ড’ বা ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ দিয়ে চিহ্নিত করত।
বিজেপির এই দুই নেতার বক্তব্যের পরেই দেশের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে ঘৃতাহুতি হয়েছে। অন্যদিকে বর্ষীয়ান কংগ্রেসনেতা মণীশ তিওয়ারিও ভারতীয় সংবিধানের একটি অংশ এক্সবার্তায় তুলে ধরে বলেছেন, এর থেকে স্পষ্ট আর কিছু নেই। তিনি বলতে চেয়েছেন, দেশের সংবিধানে ৫২ ধারাতে উল্লেখ করা রয়েছে, প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া।