
The Truth Of Bengal: বিরোধীদের কুত্সার রাজনীতিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে একহাত নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, তাঁর বিদেশে চিকিত্সা করাতে যাওয়ার নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করেছিল। সেই অপপ্রচারের জবাব দিয়ে অভিষেক জানিয়ে দেন,তাঁর পদবি মোদি বা মাল্য নয়,বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসেবে ছাত্র-যুবদের আরও আন্দোলনমুখী হওয়ার ডাকও দেন তিনি।
২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। সিঙ্গুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে দুর্ঘটনা হয়। চোখে গুরুতর চোট পান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে তাঁর চোখে অস্ত্রোপচার হয় । প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে তাঁর চোখের অপারেশন হয়। তবে চোখের সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয়নি বলে জানা যায়।তাই চেক আপ করানোর জন্য অভিষেককে বিদেশে যেতে হয়।সেইমতো ২৬জুলাই চোখের চিকিত্সা করাতে আমেরিকা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।২৫দিন পর কলকাতায় ফিরে আসেন তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ যাত্রা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ নানা মঞ্চে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে ফিরবেন কিনা। সংশয়ের আবর্তে রাজনীতির ঘোলাজলে মাছ ধরার চেষ্টা করেন বিজেপি সহ বিরোধীরা। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠান থেকে বিরোধীদের তুলোধনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক এদিন সাফ জানান, মোদি-মাল্য –চোকসি নয়, তাঁর পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ ছেড়ে কখনই পালানোর লোক নন। মাথা উঁচু করে লড়তে জানি ,দিল্লির কাছে বশ্যতা স্বীকার নয়। বিজেপির বন্ধুরা যেভাবে দেশছেড়ে পালিয়ে যায় অবলীলায় সেভাবে তিনি কখনই দেশ ছাড়বেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই দেশে সাম্প্রদায়িকতা ,বিভাজনবিরোধী শক্তির লড়াই জোরদার হবে বলেও ডাক দেন তিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেনস্থার চেষ্টা চলছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিরোধীরা যতই এজেন্সিকে লাগাক,তাঁর নামে অপবাদের ষড়যন্ত্র করুক,বাংলার সচেতন আবহে বিজেপির ছক কাজে লাগবে না।আরও চড়া সুরে বিজেপি থেকে বাম-কংগ্রেস সবাইকে নিশানাও করেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের কথা তুলে ধরে বিরোধীদের কড়া জবাব দেন সাংসদ। গ্রামবাংলার স্বশাসিত সংস্থার ভোটে বিরোধীদের রাজনৈতিক ব্যাকফুটে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনেন অভিষেক। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী,সুকান্ত মজুমদার সবার বুথে গেরুয়া ফিকে হয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি।