আজ জাতীয় নাথিং ডে, জেনে নিন এই ‘কিছুই না করার’ দিনের ইতিহাস
Today is National Doing Nothing Day, take a look at the history of this 'doing nothing' idea

Truth of Bengal: প্রথমবার ১৯৭৩ সালে উদযাপিত হওয়া জাতীয় নাথিং ডে প্রতি বছর ১৬ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হয়। ব্যস্ত এবং দ্রুতগতির জীবনের মাঝে একটি অদ্ভুত দিন, যা সম্পূর্ণভাবে কিছু না করার জন্য উৎসর্গীকৃত। এই দিনটি মানুষকে থামার, বর্তমান মুহূর্ত উপভোগ করার এবং জীবনের সরলতাকে গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়।
জাতীয় নাথিং ডে-এর ইতিহাস
জাতীয় নাথিং ডে-এর ধারণাটি ১৯৭২ সালে কলাম লেখক হ্যারল্ড পুলম্যান কফিন প্রস্তাব করেন। তিনি মনে করতেন, ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি নেওয়ার জন্য একটি শান্ত দিনের প্রয়োজন। এই দিনটি পুরো দিন অলস বসে থাকার জন্য নয়, বরং জীবনের গতি একটু কমিয়ে দেওয়ার জন্য।
এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে নিয়মিত কাজ, প্রযুক্তি এবং বাধ্যবাধকতা থেকে মানসিকভাবে বিরতি নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় নাথিং ডে-এর তাৎপর্য
জাতীয় নাথিং ডে আমাদের শেখায় যে কখনো কখনো কিছু না করাটাও গ্রহণযোগ্য। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে বিরতি নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিরতি নেওয়া স্ট্রেস এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি সৃজনশীলতা এবং সামগ্রিক মঙ্গল বৃদ্ধি করে।
কীভাবে উদযাপন করবেন জাতীয় নাথিং ডে?
মেডিটেশন এবং মননশীলতা চর্চা করুন
ব্যস্ত সময়সূচি থেকে কিছুটা সময় বের করে মেডিটেশন বা মননশীলতার চর্চা করুন। এটি মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে, মনের চাপ কমায় এবং আপনার চিন্তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
বই পড়ুন
আপনার পছন্দের একটি বই তুলে নিন, যা পড়ার জন্য সময় বের করতে পারেননি। ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে বিরতি নিয়ে বই পড়া মানসিকভাবে শান্তির একটি দারুণ উপায়।
প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন
ডিভাইস বন্ধ করে বাস্তব জীবনে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করুন। যদি বিরক্ত লাগে, প্রযুক্তি ছাড়া নতুন কোনো শখে মন দিন বা বাইরে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান।
প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান
প্রকৃতির মাঝে মননশীল হাঁটাহাঁটি করুন, শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করুন এবং নির্মল বাতাস গ্রহণ করুন। এটি মানসিক প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে।
বিশ্রাম নিন
নিজেকে বিশ্রামের সময় দিন। একটি ছোট ঘুম বা আরামদায়ক বিশ্রাম আপনার মন এবং শরীর পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
জাতীয় নাথিং ডে আমাদের ব্যস্ত জীবনের মাঝে একটি মধুর বিরতি নেওয়ার এবং নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়। কিছু না করার মাঝে যে আনন্দ লুকিয়ে আছে, সেটি খুঁজে পেতে সাহায্য করে এই বিশেষ দিন।