কলকাতারাজ্যের খবর
Trending

সাগরসঙ্গমে মকর সংক্রান্তি, মনস্কামনা পূরণে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম…

Today is Makar Sankranti. Millions of devotees flock to take a holy bath in the Ganges to fulfill their wishes.

The Truth Of Bengal: আজ মকর সংক্রান্তি। মনস্কামনা পূরণে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম। ভিড় উপচে পড়ছে সমুদ্র সৈকতে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই গতকাল মাঝরাত থেকে শুরু হয়েছে স্নান। সাগরে স্নানের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন পুণ্যার্থীরা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। একাধিক পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, সিভিল ডিফেন্স ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন ওড়ানোর পাশাপাশি, স্পিড বোট ও হোভার ক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা। সব মিলিয়ে একাকার এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে। যেন এক টুকরো এক ভারত।

কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকা ভোর, সঙ্গে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। মোক্ষলাভের জন্য সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে পুণ্যস্নান সাগরসঙ্গমে। রবিবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট থেকে মাহেন্দ্রক্ষণ শুরুর পর মাঝরাত থেকেই শুরু হয় পবিত্র স্নান। সোমবার ভোরে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্য অর্জনের আশায় গঙ্গাসাগরে ডুব দিলেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। জোয়ারের জল বেশি থাকায় নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দুয়েক পর স্নানপর্ব শুরু হয়। স্নান চলবে সোমবার রাত ১২টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। সোমবার সকালে সাগরে পুণ্যাস্নানের পাশাপাশি কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন পুণ্যার্থীরা। সেখানে উপচে পড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কোনও অঘটন এড়াতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকা। মেলা চত্বরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প থেকে নজর রাখা হচ্ছে। আকাশপথে ও জলপথে চলছে নজরদারি। উপকূলরক্ষী বাহিনী, NDRF, অসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ ছাড়াও প্রস্তুত ভারতীয় নৌ বাহিনী। ড্রোন উড়িয়েও নজরদারি চলছে। জলপথে স্পিড বোট ও হোভারক্রাফটে চড়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও নৌ-সেনা। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস রবিবার জানান, রবিবারের মধ্যে মেলায় পৌঁছে যান ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী। সোমবার সেই সংখ্যাটা বাড়ে আরও কয়েক লক্ষ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের লক্ষ্য থাকে জীবনে একবার অন্তত গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। তবে গঙ্গাসাগরের আলাদা মাহাত্ম্য থাকলেও শাস্ত্রজ্ঞরা বলেন, আপনি যেখানেই শুদ্ধ অনুভূতি ও বিশ্বাস নিয়ে মা গঙ্গার ধ্যান করে স্নান করবেন, সেখানেই গঙ্গাস্নানের পুণ্য পাবেন। তাই শুধু গঙ্গায় স্নানই নয়, যমুনা, গোদাবরী, সরস্বতী, নর্মদা, সিন্ধু, কাবেরীতেও ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করতে পারেন।

তবে বিশ্বাস করা হয়, মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গা সাগরে স্নান করলে অশ্বমেধ যজ্ঞ করার মতোই পুণ্য পাওয়া যায়। লাভ হয় সকল মোক্ষ। মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গায় স্নানের পুণ্যের বর্ণনা বেশি বলে বলা আছে শাস্ত্রে। কারণ মকর সংক্রান্তির দিন রাজা সাগরের সন্তানদের রক্ষা করতে গিয়ে সাগরে মিশে গিয়েছিল গঙ্গা।

তাই মকর সংক্রান্তির দিনে গঙ্গায় স্নান ও গঙ্গা সাগরে ডুব দেওয়ার মাহাত্ম্য শাস্ত্রে মহা মহিমায় বর্ণিত করা হয়েছে। সেই জন্য বলা হয়, সব তীর্থ বারবার গঙ্গা সাগর একবার। অর্থাৎ বারবার সমস্ত তীর্থে গিয়ে স্নান করার যে পুণ্য মেলে মকর সংক্রান্তিতে একবার গঙ্গাসাগরে স্নান করলে সেই পুণ্য অর্জিত হয়। তাই হাজার প্রতিকূলতা পার করে গঙ্গাসাগরের অমোঘ টানে হাজির হন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী।

Free Access

Related Articles