কলকাতা

মহুয়ার পাশে দল আছে কি? নতুন জল্পনা দলের অন্দরেই

Mahua Moitra

The Truth of Bengal: বিতর্ক দানা বেঁধেছে  প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ সহুয়া মৈত্র প্রতিবাদের সোচ্চার হলেও, সেভাবে পাশে দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও নেতাকে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দল কি মহুয়ার পাশে আছে?

বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের পরেই, কিছু রণংদেহী মূর্তি নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। বিজেপি ও নিশিকান্তকে নিশানা করে একেস প্লাটফর্মে একাধিক তোপ দেগেছিলেন। এমনকী কিছু মিডিয়া হাউস ও বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলার নোটিসও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির হলফনামা প্রকাশ্যে আসার পরেই, পাল্টা চাপ শুরু হয়। যদিও মহিয়ার দাবি, বিষয়টি নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এদিকে, এমন একটি মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পরেই, দল কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছে। অতি সম্প্রতি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, জানিয়েছিলেন, মহুয়া মিত্রর বিষয়টি নিয়ে দলের তরফে বলার কিছুই নেই। অর্থাৎ, মহুয়াকে যে আপাতত আত্মপক্ষে নিজেকেই লড়াই করতে হবে।

সূত্রের খবর, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে যে অভিযোগ এনেছিলেন, তা রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এর মোকাবিকা রাজনৈতিকভাবে করা যেত। এমনকী এথিক্স কমিটির সামনে জবাবদিহি করেও করা যেত। কিন্তু দর্শন হীরানন্দানি, হলফনামায় যে অভিযোগ এনেছে, তা মারাত্ম। একজন সাংসদের লগ ইন পাসওয়ার্ড তিনি ব্যবহার করেছিলেন। আর এই বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই আপাতত মহুয়াকে নিয়ে বাড়তি কোনও কথা বলতে চাইছে না দল।

এদিকে শনিবার ফের নতুন করে এক্স প্লাটফর্মে মহুয়ার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নিশিকান্ত দুবে। তাঁর দাবি, মহুয়া যে সময় ভারতে ছিলেন, সেই সময় দুবাই থেকে তাঁর লগ আইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। পুরো তথ্য ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টারের কাছে রয়েছে।  ইতিমধ্যে এই তথ্য, তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছে এন আইসি। তাঁর আরও প্রশ্ন, এরপরেও কি তৃণমূল বা বিরোধীরা রাজনীতি করবে?

প্রসঙ্গ, তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র কালীপুজো নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, সেই সময়ও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি দল। তৃণমূল সেই সময় স্পষ্টই জানায়, মহুয়ার মন্তব্যকে সমর্থন করে না দল। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন মহুয়া।

Related Articles