
The Truth of Bengal: জল্পনা তৈরি হয়েছিল, একটি দিনে দুটি জায়গার মধ্যে কোনটি প্রাথমিক গ্রাহ্যতা দেবেন। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল, বুধবার ইডি দফতরেই হাজিরা দেবেন বলে সূত্রের খবর। আজ সকাল ১১ নাগাদ নাগাদ, সিজিও কমপ্লেক্সে তিনি হাজিরা দিতে পারেন। অভিষেককে সমন পাঠানো হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না বলে আদালতকে জানিয়েছে ইডি। বেশ কিছু তথ্য জানার উদ্দেশেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। কারণ, বিজেপি বিরোধী জোটের প্রথম কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈটক। আর সেই আলোচনাসভাতেই থাকতে পারছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার যাত্রাকে ভঙ্গ করে তাঁকে বিব্রত করার চেষ্টা।
পুরোটাই অভিষেককে যে হেনস্থা করতে ইডি বারবার তলব করছে এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছিলেন, “অভিষেককে সারাক্ষণ বিরক্ত করা হচ্ছে। অকারণ হেনস্থা করা হচ্ছে। কোনও প্রমাণ নেই।” পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বলেছিলেন, “ভয় দেখানোর কথা বলছে। কিন্তু অভিষেকের ডিএনএ-তে ভয় বলে কোনও বস্তু নেই।”
গুরুত্বপূর্ণ দিনে অভিষেকের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিকে ঘেঁটে দেওয়ার পরিকল্পনা এই নতুন নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেই পর্বেও দেখা গিয়েছিল, কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছিল। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে কর্মসূচি বন্ধ রেখেই কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবারেও সেই কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকের দিনেই তাঁকে তলব করা হয়েছে।