
Truth Of Bengal: উষ্ণতার আবহে বড়দিনে মাতেন উত্সবপ্রেমী মানুষ। জিঙ্গল বেলের শব্দ ছড়িয়ে পড়ে তিলোত্তমার আনাচে কানাচে আনন্দের ছোঁয়া নিতে কেউ যান ক্যাথিড্রাল চার্চে কেউ আবার যান ভিক্টোরিয়ায়। আবার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন দর্শন বোঝার জন্য অনেকেই যান আলিপুর মিউজিয়ামে।
বিশ্বজনীন উত্সবের উষ্ণতার ছোঁয়া লাগল গ্লোবাল সিটি কলকাতায়। ইতালির রোম, আমেরিকার নিউইয়র্ক বা ইংল্যান্ডের লন্ডনের মতোই বিশ্বমানের শহর কলকাতাতেও বড়দিন বড়ভাবেই উদযাপন করা হল। পার্ক স্ট্রিট –বোব্যারাক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা সর্বত্র ধরা পড়ল ফেস্টিভ মুড। দুর্গাপুজো, ইদের মতোই বড়দিনও আমবাঙালি ঘটা করে পালন করল। যিশুর বার্থডে-তে কার্যতঃ কচিকাঁচারা ছিল ফেস্টিভ মুডে। যিশুর কাছে সববয়সের মানুষই প্রার্থনা করেন। বিশ্ববাসীর মঙ্গল চেয়ে ভগবানের কাছে কামনা করেন তাঁরা। চার্চে চার্চে যেমন মানুষের ঢল নামে তেমনই আবার, বো ব্যারাকে উত্সাহী মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের সঙ্গে গ্লোবাল বাঙালি সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনে যে আগ্রহী তা জেন জেড বুঝিয়ে দেন।
বড়দিন থেকে ১লা জানুয়ারি টানা ছুটি স্কুল – কলেজে। অফিসেও ছুটির ছন্দ বজায় রয়েছে। এই ফেস্টিড মুড উপভোগ করতে তাই অনেকেই চলে আসেন আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বন্যদের থাকার শান্ত-আবহে যেন উত্সাহী মানুষ নিজেদের চার্জ করে নেন। ছোট থেকে বড়,সবাই হাত ধরাধরি করে উল্লাসের ভাগিদার হয়।
চিড়িয়াখানা হয়ে ওঠে পিকনিক স্পট।অনেকেই পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া করেন। তাই কলকাতা এই বড়দিনে আলাদাভাবে মেতে ওঠে। সবার মনে আনন্দের ছোঁয়া লাগে।উত্সবের উষ্ণতার আঁচে সবাই যেন মনকে চাঙ্গা করে নিল আরও একবার।