
The Truth of Bengal: মহা সমারোহে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। এদিন ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ মন্দির থেকেও বের হয় বিশাল বড় রথ। এই সুবিশাল রথে চেপেই জগন্নাথ সুভদ্রা ও বলরাম যান মাসির বাড়ি গুণ্ডিচায়। ৫৩ বছর পর চলতি বছরে রথ যাত্রা ২ দিন পালিত হবে। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রবিবার ভোর ৩টে ৪৪ মিনিট থেকে ৮ জুলাই ভোর ৪টে ১৪ মিনিট পর্যন্ত যোগ রয়েছে। এই শুভ দিনে বহু পর্যটক পুরীতে এসে ভিড় করেন। সবাই খরচার কারণে হয়তো যেতে পারেন না। তাদের জন্য রইল শহরে অবস্থিত এক নতুন জগন্নাথ মন্দিরের ঠিকানা যা অবস্থিত খিদিরপুরে।
দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুরে ট্রেন ডিপোর কাছে রয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়া এই জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দির খোলা থাকে সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ওইদিকে আবার বিকেল ৪ টে থেকে ৯ টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দিরটি। জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রাকে মন থেকে ডাকলেই মনের সব ইচ্ছে পূরণ হবে। সাদা রঙের এই মন্দিরের অসাধারণ কারুকার্য দেখেও আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। এই মন্দিরের কাছে রাত্রে থাকার ব্যবস্থাও আছে। পুরীর মন্দিরের রথের চাকা দেখতে পাবেন খিদিরপুরের জগন্নাথ মন্দিরে।
এই মন্দিরের সিংহ দরজায় রয়েছে এই পুরীর রথের চাকা। কথিত আছে ওড়িশায় যে পাথর দিয়ে জগন্নাথ ধাম তৈরি হয়েছিল সেই পাথরের এক অংশ দিয়ে তৈরি খিদিরপুরের এই জগন্নাথ ধাম। মন্দিরের মধ্যে রয়েছে অরুণা স্তম্ভ, রয়েছে গেরুদা স্তম্ভ। রথের ভদিন এখানে মহা ভোগ নিবেদন করা হয়। এই মন্দিরে কেবল জগন্নাথ দেব নন রয়েছেন শ্রী গণেশ, দেবী সরস্বতী, মহাবীর হনুমান থেকে মা লক্ষ্মী। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? ট্রেনে করে পৌঁছে যান খিদিরপুর স্টেশন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারবেন এই মন্দিরে।