জীবনতলার আগ্নেয়াস্ত্র কেনাবেচার আঁতুরঘর বিবাদী বাগের দোকান?
Is the Jibantala firearms trading shop the defendant's shop?

Truth Of Bengal: জীবনতলায় আগ্নেয়াস্ত্র যেতো কলকাতা থেকে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল কলকাতা পুলিশ।এসটিএফ হানা দিয়ে বিবাদীবাগের একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। ১৯০রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অনুমান, এই কার্তুজগুলি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হত। জীবনতলার অস্ত্র কারবারে যুক্ত ৪জনকে চলছে জেরা।
জীবনতলায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের সরবরাহ হত বৈধ কাগজপত্র থাকা বিবাদীবাগের একটি দোকান থেকে।অস্ত্র কারবারের আঁতুরঘরে হানা দিল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।বিবাদীবাগের একটি দোকানের শাটার খুলে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জীবনতলায় হানা দেয় এসটিএফের স্পেশাল টিম।হাজি রশিদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র।বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করা হয়।হাজি রশিদ মোল্লা ছাড়াও গ্রেফতার হয় জয়ন্ত দত্ত,আব্দুল সেলিম গাজি,আশিক ইকবাল।
এসটিএফ জানতে পারে, ধৃত হাজি রশিদ মোল্লার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল ফারুক নামে এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সরকারি অস্ত্র কারখানা থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র-কার্তুজ বিক্রির জন্য দোকানে আনা হত। যা কেনা হত ৩০০-৩৫০ টাকায়।
দুষ্কৃতীদের কাছে তা বিক্রি করা হত কমপক্ষে ৫০০ টাকায়। কত দিন ধরে ওই কার্তুজ দোকান থেকে বাইরে পাচার করা চলছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। ধৃতেরা জেরায় স্বীকার করেছে যে, তারাই কলকাতা থেকে জীবনতলায় ওই কার্তুজ নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল। অনুমান, লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে অভিযুক্ত কর্মচারী জয়ন্ত সে সব সরিয়ে বিক্রি করতে গিয়েছিল।