Haridevpur Shooting: খাস কলকাতায় শ্যুটআউট কাণ্ডে নয়া মোড়, নেপথ্যে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন?
এই ভয়ঙ্কর হামলার মূলে রয়েছে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জটিল টানাপোড়েন এবং প্রতিশোধস্পৃহা।
Truth of Bengal: সোমবার সাতসকালে দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় প্রকাশ্যে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই মহিলা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, যেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই এই শ্যুটআউটের নেপথ্যের কারণ হিসেবে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন করেছে বলে দাবি।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই ভয়ঙ্কর হামলার মূলে রয়েছে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জটিল টানাপোড়েন এবং প্রতিশোধস্পৃহা। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলা মৌসুমী হালদারকে গুলি করার মূল অভিযুক্ত তাঁরই প্রতিবেশী তথা প্রেমিক বাবু নামে এক যুবক। পুলিশ ইতিমধ্যেই বাবুকে খুঁজে বের করার জন্য জোর তল্লাশি শুরু করেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারলেই ঘটনার দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌসুমী হালদার বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। অন্যদিকে, প্রতিবেশী বাবু তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এই দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা পাড়ার অনেকেই জানতেন। এমনকি, তাঁরা গোপনে বিয়েও করেছিলেন বলে কানাঘুষো শোনা গেলেও, সেই তথ্যের সত্যতা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।
কিন্তু সম্প্রতি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমীদেবী। তিনি বাবুকে জানান, তাঁদের সন্তানরা বড় হয়েছে এবং তিনি বাবুর ‘বৈধ স্ত্রী’ নন, তাই এই সম্পর্ক আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই কারণে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই তীব্র বাকবিতণ্ডা হতো বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। পাড়া-পড়শীরা মনে করছেন, সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরেই বাবু প্রতিশোধ নেওয়ার উদ্দেশ্যে মৌসুমী হালদারের ওপর হামলা চালিয়েছেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবু তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতেই চেয়েছিল, কিন্তু সেই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পরই গা-ঢাকা দিয়েছে।






